চেন্নাই, 2 জুন: গোকুলরাজ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত 10 জনের যাবজ্জীবনের সাজা বহাল রাখল মাদ্রাজ হাইকোর্ট ৷ এর আগে বিশেষ আদালত অভিযুক্ত দশজনকে এই সাজা দিয়েছিল ৷ তাঁরা সেই রায়ের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷ কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গেল ৷
তামিলনাড়ুতে গোকুলরাজ হত্যাকাণ্ড হয়েছিল 2015 সালে ৷ ওই বছর 24 জুন সালেম জেলার ওমালুরের বাসিন্দা পেশায় ইঞ্জিনিয়র গোকুলরাজের মৃতদেহ রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় ৷ তাঁর ধড় থেকে মাথা আলাদা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল ৷ এই ঘটনায় অনার কিলিং বা সম্মানের রক্ষার্থে খুনের বিষয়টি সামনে চলে আসে ৷ ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় থিরান চেন্নামালাই গাউন্ডার পেরাভাই নামে একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান যুবরাজের ৷
বিশেষ আদালত অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ৷ তাঁর বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন যুবরাজ-সহ ওই দশজন ৷ পালটা আদালতের দ্বারস্থ হন গোকুলরাজের মা ৷ তিনি ওই দশজনের মধ্যে পাঁচজনকে যাতে নির্দোষ না বলা হয়, সেই আবেদন তিনি আদালতের কাছে করেন ৷ এই আবেদনগুলির শুনানি হয় মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এমএস রমেশ ও এন আনন্দ ভেঙ্কটেশের এজলাসে ৷
যুবরাজদের পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, ইলেকট্রনিক্স প্রমাণ জোগাড়ের সময় ভুল হয়েছে ৷ অনেক ত্রুটি থেকে গিয়েছে ৷ তাছাড়া ইলেকট্রনিক্স প্রমাণে বিকৃতি করা যায় সহজেই ৷ তাই যুবরাজদের বিরুদ্ধে খুনে যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণই নেই ৷ কিন্তু সরকারপক্ষের আইনজীবী পালটা দাবি করেন, সাক্ষীদের বয়ানেই খুনের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে ৷ তাই এঁদের ছাড়া উচিত হবে না ৷ শাস্তিই এঁদের প্রাপ্য ৷
জানা গিয়েছে, গোকুলরাজ স্বাতী নামের একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতেন ৷ সেই নিয়ে বিবাদের জেরে তাঁর প্রাণ যায় ৷ 2015 সালের 24 জুন তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ৷ এর আগে তাঁকে জীবিত অবস্থায় শেষবার দেখা যায় আগেরদিন, অর্থাৎ 23 জুন ৷ তিরুচেঙ্গোড়ে অর্ধনারীশ্বর মন্দিরে স্বাতীর সঙ্গেই সেদিন তাঁকে দেখা গিয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: রাঁচিতে নাবালিকার রহস্যমৃত্যু, ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ
শুক্রবার মামলার রায়দান করা হয় ৷ সেখানে মাদ্রাজ হাইকোর্ট বিশেষ আদালতের রায়কেই বহাল রাখল ৷ ফলে দোষী সাব্যস্ত হওয়া যুবরাজ-সহ 10 জনের যাবজ্জীবনের সাজা বহাল থাকল ৷