নয়াদিল্লি, 27 মার্চ: দেশে বর্তমান গণতন্ত্রের অবস্থা বোঝাতেই কালো রঙের পোশাক বেছে নিয়েছে কংগ্রেস ৷ সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের (Mallikarjun Kharge) দাবি, ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন, পদদলিত হচ্ছে, সে কারণেই কালো পোশাক পরেছেন কংগ্রেস সাংসদরা ৷ সোমবার লোকসভার সাংসদ পদ থেকে রাহুল গান্ধিকে অপসারণের বিরোধীতার পাশাপাশি আদানি ইস্যু নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস ৷
এদিন সংসদের বাইরে এবং ভিতরে একইভাবে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা ৷ এদিন অবশ্য় কংগ্রেসের বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল অন্য়ান্য় বিরোধীদলের নেতারাও ৷ বিরোধী সাংসদদের চরম হট্টগোলের জেরে দফায় দফায় মুলতুবি করে দিতে হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন ৷ সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে অভিযোগ করেন, "যারা এই সরকারের সামনে মাথা নত করেননি, তাঁদের ভাঙার জন্য়ই কেন্দ্রীয় সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করেছে।" (Wearing black clothes show democracy trampled))
আদানি ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চিহ্ন হিসাবে কালো পোশাক পরে এদিন সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত সবকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল মিছিল করে ৷ পরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, "রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ বরখাস্তের বিরুদ্ধে একসঙ্গে প্রতিবাদ করার জন্য আমি বিরোধী নেতাদের ধন্যবাদ জানাই। কেন আমরা এখানে কালো পোশাক পরে আছি? আমরা দেখাতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের গণতন্ত্রকে শেষ করছেন। তিনি দেশের স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে শেষ করেছেন ৷ যারা নির্বাচনে জিতেছিল তাদের হুমকি দেওয়া হয় ৷ যারা হুমকিতে মাথা ঝোঁকাননি তাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: প্রথম বঙ্গসফরে কলকাতা পৌঁছলেন রাষ্ট্রপতি, স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন খাড়গে বলেন, "সংসদে আমাদের উত্থাপিত প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি সরকার ৷ 18টি দলের সাংসদরা আজ এখানে আছেন। আমরা আদানি ইস্য়ুতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি করেছি ৷ যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করতে ভয় পাচ্ছেন কেন? সত্য বেরিয়ে আসবে !" পাশাপাশি রাহুল গান্ধির বিষয়টিকে গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন বলেও অভিহিত করেন কংগ্রেস সভাপতি ৷ তিনি বলেন, "রাহুল গান্ধি ভয় পাবেন না। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, বিরোধী দলগুলিকে দমন করতে পারবেন না। আমরা মাথা নত করব না।" কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পদক্ষেপকেও স্বাগত জানিয়ে বলেন, "যারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে তাকে স্বাগত জানানো হবে।"