লখনউ, 28 জুলাই: কাশ্মীর নয় ৷ সন্ত্রাসবাদ নয় ৷ নিদেনপক্ষে দু দেশের ক্রিকেট ম্যাচও নয় ৷ বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত সীমা গোলাম হায়দার ও অঞ্জুর প্রেম কাহিনি ৷ সীমা তাঁর প্রেমিক শচীনের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন ৷ আর জয়পুরের অঞ্জু তাঁর ফেসবুকের বন্ধু নাসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে পাড়ি দিয়েছেন পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় । ইসলাম গ্রহণ করে নিকাহও করেছেন তিনি ৷ এমনই এক ভারতীয় কন্যা হাসমত আরাও বিয়ে করেছিলেন পাকিস্তানি যুবককে ৷ পাক নাগরিকত্বও নিয়েছিলেন ৷ তবে বিয়ের পরের অভিজ্ঞতায় আর প্রেম ছিল না ৷ ছিল শুধুই অত্যাচার ও নিপীড়নের কাহিনি ৷ অবশেষে স্বামী তালাক দিলে চার সন্তানকে নিয়ে তিনি ভারতে ফিরে আসেন ৷ যদিও বর্তমানে তাঁর ঠিকানা সংশোধনাগার ৷
পাক নাগরিকত্ব নেন হাসমত: লখনউয়ের সাদাতগঞ্জ থানায় নথিভুক্ত এফআইআর-এ অঞ্জু ও সীমার গল্পের সঙ্গে মিল পাবেন হাসমতের ৷ এফআইআর দায়েরকারী সাব-ইন্সপেক্টর সাজিদ বেগ বলেন, হাসমত আরা রায়বরেলির বাসিন্দা ৷ 1980 সালে পাকিস্তানের শাহনাজির আলমকে বিয়ে করেন তিনি ৷ তার পরে তিনি পাকিস্তানেই থাকতে শুরু করেন । হাসমত আরা পাকিস্তানের নাগরিকত্বও নিয়েছিলেন ৷ অর্থাৎ এখন তিনি পাকিস্তানি । এরই মধ্যে হাসমত আরা দুই কন্যা ও দুই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ।
আরও পড়ুন: 'আইনি ব্যবস্থা নেব, অঞ্জুকে আর গ্রহণ করব না; তবে...!' কী বললেন তাঁর স্বামী
স্বামীর অত্যাচারের শিকার: সাব-ইন্সপেক্টর সাজিদ বেগ বলেন, পাকিস্তানি স্বামী শাহনাজির আলমের অত্যাচার শিকার হতে হয়েছে হাসমতকে ৷ তবু মুখ বুজে সব সহ্য করতেন তিনি ৷ তবে 1987 সালে স্বামী তালাক দেওয়ার পর চার সন্তানকে নিয়ে লখনউতে ফিরে আসেন হাসমত ৷
সংশোধনাগারে হাসমত: এরই মধ্যে হাসমত লখনউতে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন । কিন্তু তাঁর ভিসার মেয়াদ ছিল 1998 সালের 11 নভেম্বর পর্যন্ত । ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, হাসমত আরা 24 বছর ধরে লখনউতে বাস করছিলেন ৷ অথচ খাতায় কলমে এখনও তিনি পাকিস্তানের নাগরিক ৷ বিষয়টি পুলিশের নজরে আসতেই 2022 সালের 28 অক্টোবর রাজধানীর লাকদমন্দি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পুলিশ হাসমত ও তাঁর চার সন্তানের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট, 1946 এর 13 ও 14 নং ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং তাঁদের হাজতে বন্দি করে রেখেছে ৷