হায়দরাবাদ, 28 সেপ্টেম্বর: আধার দিল নিখোঁজের সন্ধান ৷ ন'বছর আগে কাউকে কিছু না বলে চলে গিয়েছিলন সব্যসাচী দাস ৷ সেই সময় তাঁর বয়স ছিল 15 ৷ তবে পুলিশ তাঁর খোঁজ পেয়েছে আধার কার্ডের মাধ্যমে ৷ তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ৷ তবে এখন ওড়িশায় রয়েছেন ৷
ঘটনাটি 2014 সালের অগস্ট মাসের ৷ গয়নার কারবারি গণেশ মণ্ডল হায়দরাবাদের চারমিনার থানায় অভিযোগ করেন, নাবালক সব্যসাচী দাস কোথাও চলে গিয়েছে ৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে সব্যসাচীকে হায়দরাবাদে নিয়ে এসেছিলেন তিনি ৷ তাঁর কাছে থেকে কাজকর্ম করতেন সব্যসাচী ৷
তবে দীর্ঘদিন পুলিশও সব্যসাচীর কোনও সন্ধান দিতে পারেননি ৷ এরপর সম্প্রতি তেলেঙ্গানার মহিলা নিরাপত্তা দফতরের অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং দল বা পাচার প্রতিরোধী দলের নজরে আসে বিষয়টি ৷ তারা ফের সব্যসাচীর নিরুদ্দেশের তদন্তটি শুরু করে ৷
এদিকে সাবালক সব্যসাচী সম্প্রতি তাঁর আধার কার্ডটি আপডেট করেন ৷ আধারে তাঁর নতুন ফোন নম্বরটি যোগ করেন ৷ সেখান থেকে তাঁর খোঁজ পায় তেলেঙ্গানার এএইচটিইউ ৷ পাচার প্রতিরোধী ইউনিটের দলটি তড়িঘড়ি ওড়িশার কটকে পৌঁছয় ৷ সেখান থেকে সব্যসাচীকে হায়দরাবাদে নিয়ে আসে ৷
9 বছর আগের নিরুদ্দেশ হওয়া সব্যসাচী এখন সাবালক ৷ তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তিনি আর পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন না ৷ পরিবারের সদস্যরা তাঁকে পড়াশোনা করতে না দিয়ে কাজ করাতে চায় ৷ কিন্তু তিনি লেখাপড়া চালিয়ে যাবেন ৷ সব্যসাচী হায়দরাবাদ থেকে একপ্রকার পালিয়েই যান ৷ তিনি কটকে একটি লজে কাজ করেন ৷ সেখানে দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করেছেন ৷ এখন কটকে থিতু হয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি নাবালিকার ভুয়ো আধার-প্যান, আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রে কী ভূমিকা মুস্তাকের ?