বালাসোর, 3 জুন: বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত 238 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশংকা। বাহাঙ্গা স্টেশনের কাছে চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বহু বগি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। শুক্রবার রাতের ওই মর্মান্তিক ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাঁদের নিকটবর্তী বালাসোর এবং ভদ্রক মেডিক্যালে ভরতি করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় স্থানীয়রা একটি মানবিক পদক্ষেপ নিয়েছেন ৷ আহতদের তাঁরা রক্ত দিচ্ছেন ৷ শুধু তাই নয়, যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের রক্ত দেওয়ার জন্য, সারা রাত লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ভদ্রক ও বালাসোর মেডিক্যালে এক রাতের মধ্যে এখনও পর্যন্ত 500 ইউনিট রক্ত সংগ্রহ হয়েছে। বর্তমানে রক্ত স্টকে রয়েছে 900 ইউনিট ৷
ইতিমধ্যেই ওড়িশার বালাসোরের ঘটনাস্থলে পৌছেছেন রেলমন্ত্রী। শুক্রবারের ভয়াবহ ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী কারণে প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তা জানতে দেওয়া হয়েছে তদন্তের নির্দেশ। শনিবার সকালে বালেশ্বরে ঘটনাস্থে পৌঁছেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন তিনি। পরের দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: বালাসোরের দুর্ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, কথা রেলমন্ত্রীর সঙ্গে
পাশপাশি, শুক্রবার রাতেই দুর্ঘটনার খবর সামনে আসতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত সাহায্যের ব্যবস্থাও করা হয় পশ্চিমবঙ্গের তরফে। রাতেই প্রতিনিধি হিসেবে বালেশ্বরে পৌঁছেছেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন ও ও রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। দোলা সেন জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী আজ যাচ্ছেন নিজে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারবর্গকে এককালীন 10 লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের 2 লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের 50 হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যা 7টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুপুর সওয়া 3টে নাগাদ হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় চার ঘণ্টা পরে ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে 23 কামরার ট্রেনটি।