আগরতলা, 2 ফেব্রুয়ারি: ত্রিপুরা নির্বাচনে (Tripura Assembly Elections) একে অপরের বিরুদ্ধে দেওয়া প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেবে বাম-কংগ্রেস (Left Front and Congress) ৷ বুধবার গভীর রাতে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের তরফে ৷ 16 ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে এই উভয় দলই আসন ভাগাভাগির চুক্তি করেছে ৷ সেই অনুসারে এই প্রার্থী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে ।
বাম দলগুলি 25 জানুয়ারি জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে 13টি আসন ছেড়ে 47 জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে ৷ এর মধ্যে প্রার্থীর নামের তালিকা থেকে আটটি আসনে বর্তমান বিধায়কদের বাদ দিয়েছিল (Dropping eight sitting MLAs) । বাম দলগুলির এই আসন বণ্টনে কংগ্রেস নেতারা ক্ষুব্ধ হন । এরপর 28 জানুয়ারি কংগ্রেস 17 জন প্রার্থী ঘোষণা করে ৷ সোমবার মনোনয়নপত্র পূরণের শেষ দিনে (Last day of filling of nominations ) বাম এবং কংগ্রেস উভয়ই অনেক আসনে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল ৷
জোট নিয়ে তৈরি হওয়া এই জট কাটাতে উদ্যোগ নেয় দু'দলের শীর্ষনেতারা । ঠিক এই সময়ে কলকাতায় সিপিএমেরে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার । সেই বৈঠক অসমাপ্ত রেখে রাজ্যে ফিরে আসেন । কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় । অবশেষে সমাধান সূত্র মেলে । এরপর এদিন রাতে সিপিআইএম একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, যে সমস্ত আসনে কংগ্রেস লড়বে সেখানে থাকা দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে ।
কংগ্রেসের মুখপাত্র এবং দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (State General Secretary) প্রশান্ত ভট্টাচার্যও (Prashanta Bhattacharjee) বুধবার গভীর রাতে আইএএনএসকে জানান, বাম দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মাঠে নামানো হাত শিবিরের প্রার্থীদের (Congress candidates) নাম বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করা হবে ৷ বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের প্রত্যাহারের শেষ দিন ৷
কংগ্রেস নেতা এবং ত্রিপুরায় দলের একমাত্র বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন (Sudip Roy Barman) জানান, প্রথমে তারা 27টি আসন দাবি করেছিল বামেদের কাছে এবং তারপরে বাম দলগুলির কাছে 23টি আসন চাওয়া হয় ৷ কংগ্রেস প্রার্থীদের তালিকা অনুযায়ী, সুদীপ আগরতলা আসন (Agartala constituency) থেকে লড়বেন ৷ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি বিরাজিত সিনহা কৈলাসহর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ত্রিপুরা নির্বাচনে ।
আরও পড়ুন: 'গণতন্ত্র ফেরাতে' ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বার্তা বামেদের