শ্রীনগর, 13 মে : কর্মসূত্রে পরিযায়ী কিংবা কাশ্মীরী পন্ডিতদের খোঁজে পা-রাখা সাধারণ মানুষ শিকার হচ্ছেন টার্গেট কিলিং'য়ের ৷ গত অক্টোবর থেকে উপত্যকায় চলে আসা লাগাতার এই ঘটনায় নতুন নাম বছর ছত্রিশের কাশ্মীরী পণ্ডিত রাহুল ভাটের ৷ বৃহস্পতিবার বদগামের অফিসে সন্ত্রাসবাদীদের ছোড়া গুলিতে নিহত রাহুল ভাটের মৃত্যুতে রাতভর উত্তাল উপত্যকা ৷ নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার কাশ্মীরী পণ্ডিতদের প্রতিবাদ এদিন রাতে ছড়িয়ে পড়ে জম্মু এবং কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে ৷ রাস্তা অবরোধ, সরকার বিরোধী স্লোগানের নানা ছবি ধরা পড়ে সেখানে ৷
উপত্যকায় অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার সকালে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় নিহত কাশ্মীরী পণ্ডিতের (Last rites conducted for Kashmiri Pandit killed by militants in Budgam) ৷ যিনি গত 10 বছর ধরে বদগাম জেলার কাশ্মীরী পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের মত স্পেশাল অপারেশনে যুক্ত ছিলেন ৷ শ্রীনগরের হাসপাতাল থেকে জম্মুতে এদিন শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় নিহত কাশ্মীরী পণ্ডিতের মৃতদেহ ৷ শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন জম্মুর এডিজিপি মুকেশ সিং, ডিভিশনাল কমিশনার রমেশ কুমার, ডেপুটি কমিশনার অবনী লাভাসা ৷
বদগাম জেলায় রাহুল ভাটের শেষকৃত্যে এদিন ঢল নামে সাধারণ মানুষেরও ৷ গতকাল বদগামের চাদুরা তেহসিলের অফিসে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে কাশ্মীরী পণ্ডিতের টার্গেট কিলিং'য়ের ঘটনায় আতঙ্কিত হলেও ক্ষোভে ফুঁসছেন তারা ৷ উপত্যকায় নিরাপত্তার দাবিতে সরব কাশ্মীরী পণ্ডিতদের মধ্যে এক বাসিন্দা বলেন, "সকল কাশ্মীরী পণ্ডিতদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আশ্রয় দেওয়া উচিত ৷ এমনকী নিকটবর্তী কোনও স্থানে তাদের চাকরির বন্দোবস্ত করা উচিত ৷ তাতে যদি কিছুটা নিরাপদ থাকে তারা ৷" রাহুল ভাটের শেষকৃত্যে উপস্থিত আরও এক কাশ্মীরী পণ্ডিতের কথায়, "কাশ্মীরী হিন্দুদের কাশ্মীরে ফেরানোর ব্যবস্থা না-করে জম্মুর নিরাপদ শিবিরে পাঠানো উচিত ৷"
আরও পড়ুন : প্রত্যেক ভারতীয়র 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' দেখা উচিত : আমির খান
অন্যদিকে বর্বর হত্যা ঘটনার নিন্দা করে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জানান, যারাই এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে থাকুক না-কেন কাওকে ছাড়া হবে না ৷ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে যে রিপোর্ট উঠে এসেছে, তাতে রাহুল ভাট হত্যাকাণ্ডের পিছনে দুই সন্ত্রাসবাদী জড়িত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ পিস্তল থেকেই কাশ্মীরী পণ্ডিতকে গুলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা ৷