নয়াদিল্লি, 22 জানুয়ারি: রেসলিং ফেডেরেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি পদ থেকে সাময়িকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে ৷ মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্তা এবং তাঁদের উপর মানসিক চাপ তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ৷ যে ঘটনায় 7 সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক ৷ উল্লেখ্য, ব্রিজভূষণ সিং উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলার কেশরগঞ্জ লোকসভার বিজেপি সাংসদ ৷ জেনে নেওয়া যাক যৌন হেনস্তার মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিং সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য (Know About Wrestling Federation of India President) ৷
পরিবারের সকলেই জনপ্রতিনিধি
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই প্রথমবার নয় ৷ একাধিকবার তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন ৷ 1989 সালে প্রথম রাজনীতিতে আসা ব্রিজভূষণ 6 বারের সাংসদ ৷ তাঁর স্ত্রী কেতকি সিং একবার সাংসদ এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি হয়েছেন ৷ এমনকী তাঁর ছেলে প্রতীক সিং গোন্ডা সদর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির হয়ে ৷
বেহিসেবি সম্পত্তির মালিক ব্রিজভূষণ শরণ সিং
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বলা হয়, ব্রিজভূষণ শরণ সিং অঢেল সম্পত্তির মালিক ৷ তাঁর নামে 54টি কলেজ এবং স্কুল রয়েছে ৷ এমনকি নার্সিং কলেজও চালান তিনি ৷ আর সেই সংস্থাগুলির সবক’টিতে তিনি অথবা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য সভাপতি এবং সঞ্চালক পদে রয়েছেন ৷ ব্রিজভূষণ শরণ সিং একাধিক হোটেল ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত বলে জানা গিয়েছে ৷ গোন্ডা জেলা ও লখনউয়ে ব্রিজভূষণের বহু স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৷ এমনকী তাঁর ব্যক্তিগত একটি হেলিকপ্টার রয়েছে বলে শোনা যায় ৷
আরও পড়ুন: ডব্লিউএফআই-এর বার্ষিক সভা বাতিল, ব্রিজভূষণের অপসারণ নিয়ে তৈরি সংশয়
অস্ত্র সংগ্রহের সখ রাখেন ব্রিজভূষণ শরণ সিং
ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ে অস্ত্র সংগ্রহ করে রাখার শখ রয়েছে ৷ নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁর কাছে একটি পিস্তল, একটি রাইফেল ও একটি রিপিটার রয়েছে ৷ এমনকী তাঁর স্ত্রীর নামেও একটি রাইফেল এবং রিপিটার রয়েছে ৷ 2011 সাল থেকে একটানা রেসলিং ফেডেরেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন ব্রিজভূষণ শরণ সিং ৷ মূলত ছাত্র রাজনীতি থেকেই তাঁর উত্থানের শুরু ৷ সত্তরের দশকে অযোধ্যার এস সাকেত কলেজের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ব্রিজভূষণ শরণ সিং ৷ তাঁর বাবা চন্দ্রভান শরণ সিং কংগ্রেস করতেন ৷
বাবরি মসজিদ ধ্বংসে অভিযুক্তদের তালিকায় ছিল নাম
বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর জোশী এবং কল্যাণ সিংদের-সহ যে 40 জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিং ৷ যদিও, 2020 সালের 30 সেপ্টেম্বর সিবিআই-এর বিশেষ আদালত সকলকে বেকসুর খালাস করে দেয় ৷ ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা ব্রিজভূষণ শরণ সিং পরিচিতি লাভ করেন বাবরি মসজিদের ঘটনার পরে ৷ এবার তাঁর নাম জড়াল জাতীয় স্তরের মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন এবং মানসিকভাবে হেনস্থা অভিযোগে ৷