তিরুঅনন্তপুরম, 29 জানুয়ারি: লোকে তাঁকে 'হিন্দু' বলতে পারে ৷ এমনটাই মন্তব্য করলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Arif Mohammed Khan Regards Him as Hindu) ৷ শনিবার কেরল হিন্দুস অফ নর্থ আমেরিকার একটি সভার উদ্বোধনে গিয়ে একথা বলেন তিনি ৷ এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কেরলের রাজ্যপাল ৷ স্যর সইয়দ আহমেদ খানের কথা উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, "হিন্দু শব্দটা আমার কাছে যতটা না ধর্মীয়, তার চেয়ে অনেক বেশি ভৌগোলিক ৷"
কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বলেন, "স্যর সইয়দ আহমেদ খান একবার বলেছিলেন, আমি মনে করি না হিন্দু কোনও ধর্মীয় শব্দ ৷ এটা ভৌগোলিক শব্দ ৷ যাঁরাই ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন ৷ ভারতে উৎপাদন হওয়া খাবার খেয়েছেন বা ভারতের নদী থেকে জল পান করেছেন, তাঁরা সকলেই নিজেদের হিন্দু বলার অধিকারী ৷" এক্ষেত্রে ভারতীয়দের ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করার ঔপনিবেশিক অনুশীলনের কথা উল্লেখ করেন তিনি ৷
আরিফ মহম্মদ খানের কথায়, ঔপনিবেশিক সময়ে হিন্দু, মুসলিম এবং শিখের মতো পরিভাষাগুলিকে সূক্ষ্মভাবে ব্যবহার করা হত ৷ তিনি জানান, ব্রিটিশরা ভারতীয় নাগরিকদের সাধারণ অধিকারকে ভাগ করতে ধর্মীয় ভেদাভেদের আশ্রয় নিয়েছিল ৷ এমনকী স্বাধীনতার আগের সময়ে রাজা এবং তৎকালীন শাসক যাঁরা সনাতন ধর্মে (Sanatana Dharma) বিশ্বাস করতেন, তাঁরা সকল ধর্মকে সাদরে গ্রহণ করেছিল বলে উল্লেখ করেন কেরলের রাজ্যপাল ৷
আরও পড়ুন: কেন ভারত সরকারকে 'হিন্দু জাতীয়তাবাদী' বলা হবে ? সরব বিদেশমন্ত্রী
এর পরেই কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রশংসায় তিনি বলেন, "একইভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে ধর্মের নামে শোষিত সকলের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের দরজা খুলে দিয়েছেন ৷" আরিফ মহম্মদ খান জানান, তিনি বিশ্বাস করেন নাতন ধর্মে বিশ্বাসী সকলকে একছাতার তলায় নিয়ে আসা উচিত ৷ এরপরেই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিবিসি-র তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমার সেই সকল মানুষের প্রতি করুণা হয় ৷ যাঁরা বিচারবিভাগের রায়ের পরেও, ওই তথ্যচিত্রে বিশ্বাস রাখেন ৷"