নয়াদিল্লি, 9 মে: বুধবার বিধানসভা নির্বাচন কর্ণাটকে ৷ দক্ষিণ ভারতে একমাত্র এই রাজ্যেই ক্ষমতাসীন বিজেপি ৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের এই গড় ধরে রাখতে মরিয়া পদ্ম শিবির ৷ প্রচারের শেষলগ্নে গত কয়েকদিনে এই রাজ্যে কার্যত ঘাঁটি গেড়ে লাগাতার প্রচার চালিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ৷ অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এরাজ্যে এবার প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া বইছে এমনই মনে করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ ফলে কর্ণাটক এবার তাদের দখলেই আসতে চলেছে বলে মনে করছে হাত শিবির ৷ এই অবস্থায়, ভোটপর্ব চলাকালীন বিজেপি যাতে কোনও অসৎ পন্থা অবলম্বন করতে না পারে তার জন্য দলের বুথস্তরের কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কংগ্রেস ৷
কর্ণাটকের বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা প্রকাশ রাঠৌর মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে বিজেপি অর্থ, বল সবকিছুর আশ্রয় নিতে পারে ৷ ভোটার তালিকায় কারচুপি, সংখ্যালঘুদের নাম বাদ দেওয়া, বুথ লুঠ করারও আশঙ্কা থাকছে ৷ রিটার্নিং অফিসাররাও বিজেপির ইশারায় কাজ করতে পারেন ৷ পৌরভোটে এইসবের সাক্ষী থেকেছে এই রাজ্য ৷ তাই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ৷ ভোটাররা যাতে বুথে গিয়ে তাঁদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেন সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে কংগ্রেস কর্মীদের ৷
বুধবার সকাল 7টা থেকে শুরু হবে কর্ণাটকে ভোটগ্রহণ পর্ব ৷ 224 আসনে এই একদিনেই হবে ভোটগ্রহণ ৷ কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে দলের সব প্রার্থী ও নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভোটের দিন সব পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে ও দলের ওয়াররুমে রিপোর্ট পাঠাতে ৷ এআইসিসি'র তরফেও এদিন নজর রাখা হবে কর্ণাটকের ভোট প্রক্রিয়ায় ৷ কংগ্রেস নেতাদের আশা এবার অনায়াসে জয়ের ম্যাজিক ফিগার অর্থাৎ 113টি আসন পাবে তারা ৷
কংগ্রেস নেতা তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিরাপ্পা মইলি ইটিভি ভারতকে বলেছেন," 2019 সালে বিজেপির চক্রান্তে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই এই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল দলের রাজ্য শাখা ৷ ব্লক লেভেল পর্যন্ত কংগ্রেস কর্মীদের সক্রিয় করা হয়েছিল,জনসংযোগ কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হয় ৷ এরপর প্রজা ধ্বনি যাত্রার মাধ্যমে প্রতিটি রাজ্যে গিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে সিদ্দারামাইয়া ও দলের প্রদেশ প্রধান ডিকে শিবকুমার ৷"
আরও পড়ুন: কর্ণাটকে ভোটে জিতে 24 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মনোবল বৃদ্ধিতে মরিয়া বিজেপি ও কংগ্রেস
এবাররের নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের মূল হাতিয়ার দুর্নীতি ইস্যু ৷ সরকারি কাজের বরাত পেতে ও ঠিকাদারিতে 40 শতাংশ করে কমিশন খেয়েছে বিজেপি সরকার ৷ এটাই মূল অভিযোগ হাত শিবিরের ৷ ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে 40 শতাংশ কমিশনের সরকার বলে প্রচার চালিয়েছেন রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, মল্লিকার্জুন খড়গেরা ৷ কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তাদের দেওয়া 5 প্রতিশ্রুতিই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে ৷ উঠেছে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও ৷ এই প্রেক্ষাপটে এবার ভোট হচ্ছে কর্ণাটকে ৷ যে নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলেরও ৷