সুরাত, 1 এপ্রিল: রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ হওয়ায় বিজেপিকে তুলোধনা করলেন কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার ৷ তিনি জানান, আদানি ইস্যু থেকে মানুষের মন ঘোরাতেই রাহুল গান্ধিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ৷ যিনি রাহুল গান্ধিকে মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন সেই জেলা দায়রা আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ৷ কারণ এরপরই তাঁর পদোন্নতি হয়েছে এবং তিনি এখন সেশনস কোর্টের বিচারক ৷
কানহাইয়া কুমার এখন গুজরাতের সুরাতে ৷ তাঁর প্রশ্ন, "রামরাজ্যে সীতাকে অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ৷ তাহলে নরেন্দ্র মোদির বন্ধুকে (গৌতম আদানি) জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না কেন ? আদানি তদন্তে জেপিসি গঠন করার অনুমোদন মিলল না কেন ? এই জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি বা জেপিসি তদন্ত না-করতে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদানিকে বাঁচাচ্ছেন ৷ আদানির শেল কোম্পানিতে 2 লক্ষ কোটি টাকা দেশের বাইরের সম্পদ ৷"
তিনি আরও বলেন, "আমি এ বিষয়ে একমত, যে নরেন্দ্র মোদি নিজের পরিবারের জন্য কিছু করেননি ৷ কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক পরিবারের জন্য সবকিছু করেছেন ৷ আর যদি তিনি দাবি করেন যে, তিনি তাঁর দলের জন্য কিছু করেননি ৷ তাহলে আদানি মামলায় জেপিসি তদন্ত শুরু করতে দিচ্ছেন না কেন ?"
অন্য একটি প্রসঙ্গে কানহাইয়া বলেন, "সরকার যদি বিশ্বাস করে ইউপিএ সরকারের শাসনকালে আদানিকে অথবা রাজস্থান বা ছত্তিশগড়ের মতো কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যগুলিকে বিশেষ সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তাহলে কংগ্রেস সেই তদন্তের জন্য তৈরি ৷ আমাদের বোকা বানাবেন না ৷ সবাই জানে আদানির উন্নতির গ্রাফটা কীভাবে সোজা উঠে গিয়েছে ৷ 2014 সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তাঁর সম্পদ এখন আকাশছোঁয়া ৷"
তিনি আরও বলেন, "বিজেপি দুর্নীতি, মানহানি আর দেশদ্রোহিতার মতো অস্ত্রগুলি দিয়ে বিরোধীদের শান্ত করতে চাইছে ৷ কোনও বিরোধী দল যদি কোনও ভাবে মোদি সরকারের ভুল চিহ্নিত করে, তাহলে সেই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা হবে ৷ বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করলেই সেই অভিযোগ মকুব হবে ৷ আর তা না হলে নেতাকে জেলে যেতে হবে ৷"
আরও পড়ুন: 'প্রভু রাম ও পাণ্ডবরাও কি পরিবারতন্ত্রী ছিলেন ?' গেরুয়া অস্ত্রেই বিজেপিকে ঘা প্রিয়াঙ্কার