নিউ দিল্লি, 18 এপ্রিল: চলছে রমজান মাস ৷ তাই রোজা রেখেছেন তিনি ৷ আর রোজা পালন করতে গিয়ে মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে উঠতে পারেননি এক আইনজীবী ৷ এমন অবস্থায় বিচারপতিদের কাছে আবেদন করেন, মামলার শুনানির তারিখ দেওয়া হোক রমজান মাস কেটে যাওয়ার পর ৷ তাঁর অনুরোধ তো রাখা হয়েছেই, এমনকি এই কঠিন নিয়ম পালনের প্রশংসা করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷
ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নবম মাসে এই সময়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন রোজা পালন করেন ৷ রোজা রাখলে সূর্য ওঠার ঠিক আগের মুহূর্ত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময় কিছু খেতে পারবেন না, এমনকি এক ফোঁটা জলও নয় ৷ এতটাই কঠিন এই ব্রত ৷
আরও পড়ুন: করোনার কোপ, পিছিয়ে গেল জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা
স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন (এসএলপি)-র শুনানি শুনছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আর বিচারপতি এমআর শাহ ৷ এই মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট খুনের মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ৷ শুনানির সময় কাউন্সিলের সদস্য আইনজীবী জানান যে, এই মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে তাঁর সময় লাগবে, কারণ তিনি রমজান মাসে রোজা রেখেছেন ৷ বিচারপতিদের অনুরোধ করেন, "রমজান মাস চলছে ৷ সঙ্গে কোভিড-19-এর সঙ্কট ৷ মহামান্য কি এই মামলার শুনানির তারিখ রমজান কেটে গেলে দিতে পারেন ? আমি সারাদিন ধরে অপেক্ষা করে থাকছি... তাই একটু সমস্যায় রয়েছি ৷"
তাঁর অনুরোধের উত্তরে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, "আমি দুঃখিত ৷ সকালেই আপনার এই বিষয়ের উল্লেখ করা উচিত ছিল, তাহলে আমরা মামলার শুনানি স্থগিত রাখতাম ৷ আপনি নিশ্চিন্তে যান, বিশ্রাম নিন ৷ সারাদিন ধরে উপোস করে থাকা, এমনকি এক ফোঁটা জলও না খেয়ে, এই ক্ষমতার প্রশংসা করছি আমি ৷"
এই বাক্যালাপের পর বেঞ্চের তরফে এসএলপি-র পরবর্তী দিন ঠিক করা হয়েছে 10 মে ৷
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের প্রকাশ্যে কোনো ধর্মের রীতির এমন প্রশংসা আর সহযোগিতা অবশ্যই দৃষ্টান্ত রাজনৈতিক দলগুলির জন্য ৷