জামতাড়া, 24 মার্চ: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট করে দিয়েছে সাইবার অপরাধীরা (Jamtara Cyber Crime)৷ এই অভিযোগে জামতাড়া (Jamtara Gang) থেকে চার জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ ৷ ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ৷
স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ কারমাতান্ড থানা এলাকার ঝিলুয়া ও মাতাতান্ড গ্রামে অভিযান চালিয়ে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । শিবশঙ্কর মণ্ডল, মিত্র মণ্ডল, তপন মণ্ডল-সহ চার জন সাইবার অপরাধী কলকাতা পুলিশের হাতে জামতাড়ায় ধরা পড়েছে । এই চারজন কলকাতার প্রধান বিচারপতির অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা চুরি করেছেন বলে অভিযোগ ।
কলকাতায় সাইবার ক্রাইমের দুটি পৃথক মামলা: কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, মহানগরীতে দুটি পৃথক সাইবার অপরাধের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে । সেই মামলায় ধৃত অভিযুক্তরা কলকাতার বহু মানুষের সঙ্গে সাইবার প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ ৷ প্রায় 12 থেকে 15 লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয় । যার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির অ্যাকাউন্ট থেকেও 5 লাখ টাকার জালিয়াতির ঘটনা রয়েছে ।
এই মামলায় বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর কলকাতা পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে যে, কলকাতার বহু মানুষ সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং গোটা কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে জামতাড়া থেকে ৷ অভিযুক্তদের সন্ধানে কলকাতা পুলিশ জামতাড়ায় পৌঁছে কারমাতান্ড থানা এলাকার ঝিলুয়া মাতাতান্ড গ্রাম থেকে চার অভিযুক্তকে ধরে ফেলে ।
আরও পড়ুন: বদলাচ্ছে অপরাধের ধরন, ক্রমেই পুলিশের মাথাব্যথা হয়ে উঠছে জামতাড়া গ্যাং
পুলিশ তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে এসেছে: কলকাতা পুলিশ ধৃত চার অভিযুক্তকে জামতাড়া আদালতে হাজির করে এবং আদালতের নির্দেশে ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের কলকাতায় নিয়ে আসে । কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়ার পর আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে । জামতাড়া সাইবার থানা ছাড়াও করমাতান্ড থানার পুলিশ-সহ অন্যান্য জওয়ানরাও এই যৌথ অভিযানে যুক্ত ছিলেন ।
এটিই প্রথম নয় যে অন্য রাজ্যের পুলিশ জামতাড়ায় সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করে নিজেদের কাছে নিয়ে গিয়েছে । এর আগে ছত্তীশগড়, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি ও অন্যান্য রাজ্যের পুলিশ এখান থেকে অপরাধীদের ধরেছে ৷ সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে জামতাড়ার নাম জানে গোটা দেশ ৷ এখান থেকে বসে সাইবার অপরাধীরা কোনও না কোনও ব্যক্তিকে প্রতারণার শিকারে পরিণত করে ৷ এর সঙ্গে পুলিশের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদরাও জড়িত থাকে না ৷ এখন পরিস্থিতি এমন যে, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও প্রধান বিচারপতিও সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন ।