সোপিয়ান, 19 জুলাই : সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা’র শীর্ষ কমান্ডার সহ 2 জঙ্গিকে খতম করল আধাসেনা ৷ রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে ওই দুই জঙ্গির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন কাশ্মীরের ইনসপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বিজয় কুমার ৷ বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত লস্করের ওই কমান্ডার নাম ইসফাক দার ওরফে আবু আক্রাম ৷ 2017 সাল থেকে সে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সংক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল ৷
কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার আরও জানিয়েছেন, আবু আক্রাম এবং তার সঙ্গে থাকা আর এক জঙ্গির কাছ থেকে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহারের জন্য রাখা একাধিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ যার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, বিস্ফোরক-সহ একাধিক জিনিস পাওয়া গিয়েছে ৷ ওই এলাকায় আধাসেনার তল্লাশি অভিযান চলছে ৷ প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে যে তিনটি নাশকতামূলক ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে এই 2 আবু আক্রাম ও অন্য আর এক জঙ্গি যুক্ত ছিল ৷
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে সোপিয়ানের সাদিক খান এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে এই এনকাউন্টার হয় ৷ বেশ কয়েকদিন থেকেই এই জঙ্গিদের উপর নজর রাখা হচ্ছিল ৷ নিশ্চিত হতেই রবিবার অভিযানে নামে আধাসেনা ৷ প্রথমে ওই দুই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় ৷ কিন্তু, তা না করে বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে দুই জঙ্গি ৷ জবাবে পাল্টা গুলি চালায় বাহিনী ৷ দীর্ঘক্ষণের দু’তরফে গুলির লড়াইয়ের পর আবু আক্রাম এবং আর এক জঙ্গিকে খতম করে বাহিনী ৷
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার শ্রীনগরে দুই জঙ্গিকে এনকাউন্টার করে বাহিনী ৷ সেই সূত্রেই আবু আক্রাম ও তার সঙ্গীর খোঁজ মেলে ৷ জানা গিয়েছে আবু আক্রাম ছাড়াও শ্রীনগরে এনকাউন্টারে মৃত দুই জঙ্গিও জুন মাসে শ্রীনগরে হওয়া হামলায় যুক্ত ছিল ৷ যেখানে একটি ঘটনায় এক পুলিশ আধিকারিককে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা ৷ অন্য আর একটি ঘটনায় এক মোবাইল দোকানের মালিকের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা এবং তাঁকে মেরে ফেলা হয় ৷ তিন নম্বর ঘটনায় এক গ্রেনেড হামলায় তিন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয় এবং এক জন আহত হন ৷ প্রসঙ্গত, এ বছর এখনও পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে মোট 78 জন জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে ৷