বেঙ্গালুরু, 20 অগস্ট: চাঁদের খুব কাছে পৌঁছে গেল ল্যান্ডার মডিউল ৷ ইসরো রবিবার জানিয়েছে যে, তারা চন্দ্রযান-3 মিশনের ল্যান্ডার মডিউল (এলএম)-এর কক্ষপথকে সফলভাবে হ্রাস করেছে এবং মহাকাশযানকে চাঁদের আরও কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছে । জাতীয় মহাকাশ সংস্থা আরও বলেছে যে, এলএম এখন অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাবে । ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান সমন্বিত এলএম-টি 23 অগস্ট সন্ধ্যায় চন্দ্রপৃষ্ঠে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে ।
রবিবার ইসরো টুইটে জানিয়েছে, দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত ডিবুস্টিং (গতি কমানোর) অপারেশন সফলভাবে এলএম-এর কক্ষপথকে 25 কিমি x 134 কিমিতে কমিয়ে এনেছে । মডিউলটি অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাবে এবং নির্ধারিত ল্যান্ডিং সাইটে সূর্যোদয়ের জন্য অপেক্ষা করবে । 23 অগস্ট, 2023 তারিখ ভারতীয় সময় 5.45-এ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷
14 জুলাই অভিযান চালু হওয়ার 35 দিন পর বৃহস্পতিবার চন্দ্রযান-3-এর ল্যান্ডার মডিউল সফলভাবে প্রোপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে । ইসরোর সূত্র আগেই বলেছিল যে, বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে, ল্যান্ডারটি 'ডিবুস্ট' (গতি কমানোর প্রক্রিয়া) এর মধ্যে দিয়ে যাবে এবং এটিকে একটি কক্ষপথে স্থাপন করার চেষ্টা করবে ।
ইসরোর সূত্র আগেই বলেছিল যে, বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে, ল্যান্ডারটি 'ডিবুস্ট' (গতি কমানোর প্রক্রিয়া) এর মধ্যে দিয়ে যাবে এবং এটিকে একটি কক্ষপথে স্থাপন করার চেষ্টা করবে ৷ যেখানে পেরিলিউন (চাঁদের নিকটতম বিন্দু) 30 কিলোমিটার এবং অ্যাপোলিউন (চাঁদ থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী বিন্দু) 100 কিলোমিটার ৷ সেখান থেকেই চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে সফট ল্যান্ডিং-এর চেষ্টা করা হবে ।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযান-3 অভিযানের শরিক এক বাঙালি বিজ্ঞানী, ক্যামেরা ডিজাইনে ইসলামপুরের অনুজ
প্রায় 30 কিলোমিটার উচ্চতায়, ল্যান্ডারটি ব্রেকিং পর্যায়ে প্রবেশ করে এবং চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছনোর জন্য তার থ্রাস্টার ব্যবহার করতে শুরু করে বলে জানিয়েছে ইসরো ৷ তারা আরও বলেছে যে, প্রায় 100 মিটার উচ্চতায়, ল্যান্ডারটি পরীক্ষা করার জন্য পৃষ্টি স্ক্যান করবে । কোনও বাধা আছে কি না তা দেখে নেওয়ার পরই সফট ল্যান্ডিং-এর প্রচেষ্টা শুরু করবে ৷
14 জুলাই এর উৎক্ষেপণের পর, চন্দ্রযান-3 চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশ করে 5 আগস্টে ৷ এর পরে 17 অগস্ট উভয় মডিউল আলাদা হওয়ার আগে 6, 9, 14 এবং 16 অগস্ট কক্ষপথ হ্রাসের প্রক্রিয়া চালানো হয় ৷ এর আগে, 14 জুলাই উৎক্ষেপণের পর থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পাঁচটিরও বেশি পদক্ষেপে ইসরো চন্দ্রযান-3 মহাকাশযানটিকে পৃথিবী থেকে আরও দূরে এবং আরও দূরে কক্ষপথে নিয়ে গিয়েছে ৷
চন্দ্রযান-3 হল চন্দ্রযান-2-এর একটি ফলো-অন মিশন । চন্দ্রযান-3 মিশনের উদ্দেশ্য হল চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ এবং নরম ভাবে অবতরণ প্রদর্শন করা, চাঁদে রোভার ঘোরাফেরা করা এবং ইন-সিটু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা । ল্যান্ডারের একটি নির্দিষ্ট চন্দ্র সাইটে নরম ল্যান্ড করার ক্ষমতা রয়েছে এবং এটি রোভার মোতায়েন করে যা তার গতিশীলতার সময় চাঁদের পৃষ্ঠের ইন-সিটু রাসায়নিক বিশ্লেষণ করবে । চন্দ্রপৃষ্ঠে পরীক্ষা চালানোর জন্য ল্যান্ডার এবং রোভারের বৈজ্ঞানিক পেলোড রয়েছে ।