রাঁচি, 8 নভেম্বর: ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা ও হাজারিবাগ থেকে গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএস-এর দুই সন্ত্রাসীর মূল উদ্দেশ্য ছিল প্যালেস্তাইনে গিয়ে মসজিদ আল-আকসাকে ইহুদিদের দখল থেকে মুক্ত করা। এই জন্য, দুই সন্ত্রাসীই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিল বলে খবর।
ঝাড়খণ্ড এটিএস রীতিমতো বড় সাফল্য পেয়েছে ৷ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস-এর সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদী মহম্মদ আরিজ হাসনাইন এবং মহম্মদ নাসিম ওরফে মহসিনকে গ্রেফতার করেছে এটিএস। আরিজকে গ্রেফতারের পর তার থেকেই নাসিমের খোঁজ পায় এটিএস ৷ এরপর হাজারীবাগের কটকামসান্দি এলাকার পেলাওয়াল মাহাতো টোলা থেকে নাসিমকে গ্রেফতার করে এটিএস। গ্রেফতারের পরে, এটিএস জানিয়েছে, সন্দেহভাজন দুই সন্ত্রাসীই পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। এমনকী তাদের আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ ৷
দু'জনেরই লক্ষ্য ছিল প্যালেস্তাইনে গিয়ে যুদ্ধে যোগ দেওয়া। এটিএস জারি করা বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্যালেস্তাইনে যাওয়ার পর তারা দু'জনেই আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে মসজিদ-ই-আল-আকসাকে ইহুদিদের হাত থেকে মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে, 2020 সালে উভয় সন্ত্রাসীই 'ডার্ক ওয়েব' এবং ফেসবুকের মাধ্যমে কাশ্মীরি যুবক-যুবতীর সংস্পর্শে এসেছিল।
আদতে, এটিএস-এর কাছে তথ্য ছিল, গোড্ডা জেলার বাসিন্দা মহম্মদ আরিজ হাসনাইন আইএসআইএস-এর সঙ্গে সক্রিয় ৷ সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মাধ্যমে সংগঠনের প্রচারও করছে সে। আরিজ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তরুণদের উগ্রপন্থী কার্যকলাপের প্রচারে নিযুক্ত ছিল বলেও খবর মিলেছে। এরপর খবর পেয়ে আরিজের ওপর নজর রাখতে শুরু করে এটিএসের দল।
তার কার্যকলাপ খতিয়ে দেখতে এটিএস টিম কয়েক সপ্তাহ ধরে গোড্ডায় অবস্থানও করছিল। তদন্তের সময় আরিজের সন্দেহজনক কার্যকলাপ সামনে এলে, তাকে রাঁচিতে নিয়ে আসা হয় ৷ এরপর সেখানেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তার যোগসূত্র নিশ্চিত করা হয়। আরিজের মোবাইল থেকে একাধিক কথোপকথনও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে ঢুকে মহিলার গায়ে মূত্রত্যাগ ! মদ্যপকে আটক পুলিশের
এছাড়া আইএসআইএস সম্পর্কিত বিভিন্ন বইও পাঠিয়েছিলেন নাসিম ৷ তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, নাসিম তাগুত আরিজের কাছে জিহাদ ও কুফর নামে আইএসআইএস-এর মতাদর্শের দুটি বই পাঠিয়েছিলেন। দুটি বই আইএসআইএসের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বলে জানা গিয়েছে ৷ তদন্তের সময়, পুলিশ জানতে পারে যে, নাসিম এবং আরিজ আইএসআইএস থেকে শপথ নিয়েছে। তাদের দু'জনের মোবাইল ফোন থেকে সন্ত্রাসী সংগঠনের হলফনামাও পাওয়া গিয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টিও এরপর সামনে এসেছে।