সুরাত, 15 ডিসেম্বর: সুরাতের দীপক সালুকের (ISI Informer) সঙ্গে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর যোগসূত্র সামনে এসেছে । জানা গিয়েছে, দীপক নিজেকে প্রদীপ হিসেবে পরিচয় দিয়ে পাকিস্তানে বসবাসকারী হামিদের সঙ্গে কথা বলতেন (Pictures of Indian army position in Pokhran)। সুরাত এসওজি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পরে জানতে পেরেছে যে, দীপক হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চ্যাট করতেন আর তখনই তিনি পোখরানে সেনাবাহিনীর অবস্থানের ছবি শেয়ার করেন হামিদের সঙ্গে । নভেম্বর মাস পর্যন্ত হওয়া চ্যাটে পুলিশ রাষ্ট্রদ্রোহিতার অনেক প্রমাণ পেয়েছে (Pakistani agent)।
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য শেয়ার করার অভিযোগে সুরাতের দীপক সালুককে গ্রেফতার করেছে সুরাত ক্রাইম ব্রাঞ্চ । তাঁকে 7 দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে । সুরাত এসওজি অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করে 12 দিনের জন্য রিমান্ডে চেয়েছিল । তবে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ।
পাকিস্তানি নাগরিক এবং আইএসআই এজেন্ট হামিদের সঙ্গে দীপক সালুকের সংযোগের বিষয়ে জানতে পুলিশ তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খুঁটিয়ে দেখেছে । দীপকের কল ডিটেইলস, কার সঙ্গে তিনি যোগাযোগে ছিলেন, কীভাবে টাকা পেয়েছেন, তা খতিয়ে দেখতে রিমান্ডে চাওয়া হয় তাঁকে । দীপককে জিজ্ঞাসাবাদ করে চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে ৷ জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মে থেকে করাচির হামিদের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন দীপক । রাজস্থানের পোখরান সেনা ঘাঁটির ছবি হামিদের কাছে পাঠান তিনি । পোখরানে সেনাবাহিনীর তৎপরতা জানাতে হামিদের থেকে তিনি টাকাও নিয়েছিলেন । এখনও পর্যন্ত তাঁর অ্যাকাউন্টে মোট 75,856 টাকা এসেছে ।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদে ভয়াবহ হামলার ছক, পুলিশি তৎপরতায় রক্ষা পেল নিজামের শহর
একটি দলের মাধ্যমে পাকিস্তানি গুপ্তচরদের সংস্পর্শে আসেন দীপক । দীপকের দুটি আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর সক্রিয় ছিল । সে দুটি নম্বরই ভুয়ো নামে সক্রিয় ছিল । তিনি বিজনেস হোয়াটসঅ্যাপে প্রদীপ বিএসএফ নামে কথা বলতেন । পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারের আগে সব হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ডিলিট করে দিয়েছিলেন দীপক । ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জার 'বিনান্স'-এ দীপকের একটি অ্যাকাউন্ট ছিল । হামিদ পাকিস্তান থেকে দীপকের কাছে 226 ইউএসডিটি ক্রিপ্টো কারেন্সি পাঠিয়েছিলেন । তদন্তে ক্রিপ্টো কারেন্সি পাঠানো মহম্মদ নামে এক ব্যক্তির নাম সামনে এসেছে । প্রদীপ নাম নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন দীপক । সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুকে ভরত রাজপুতের নামে একটি অ্যাকাউন্টও তৈরি করেছিলেন দীপক । এরপর তিনি হাওয়ালা চালানো মোট 13টি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দেন ।
ভারত রাজপুত বিএসএফ-এর মতো ডামি নাম নিয়ে হাওয়ালা অপারেটর হিসেবে কথা বলতেন দীপক । সুরাত পুলিশ ভারতীয় সিম কার্ড নম্বর 6913743765 এবং 9876422718 খুঁজে পেয়েছে । দীপক পুলিশকে জানান, আগে তাঁর কাছে 17 থেকে 18টি সিম কার্ড ছিল । পুলিশ দীপকের মোবাইলের স্ক্রিনশট পেয়েছে, যাতে লেখা আছে যে তাঁর কাছে মাত্র 75,856 টাকা ছিল ।
তাঁর মোবাইল থেকে পাকিস্তানের মোবাইল নম্বর পাওয়া গিয়েছে । তিনি আরও বড় কোনও তথ্য আইএসআই-এর সঙ্গে শেয়ার করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷