মধুবনী (বিহার), 8 অক্টোবর: বিহারের ভারত-নেপাল লৌকহা সীমান্তে এক অনুপ্রবেশকারী বিদেশি মহিলাকে আটক করল এসএসবি-র 18বি ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা ৷ মুখ ঢাকা অবস্থায় ওই মহিলা নেপাল থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ৷ তার সঙ্গে চার শিশু ও তিন ভারতীয়ও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷ আটকের পর ওই বিদেশি মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর কাছ থেকে মায়ানমারের পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে ৷ কিন্তু, মহিলার কাছে অন্য কোনও প্রামাণ্য নথি না-থাকায় এসএসবি তাঁকে গ্রেফতার করেছে ৷ পাসপোর্ট অনুযায়ী, বিদেশি ওই মহিলার নাম বেগম তাহিরা ৷ তিনি মায়ানমারের আইকাপ জেলার মতি ডাংয়ের বাসিন্দা ৷
জিজ্ঞাসাবাদে বিদেশি মহিলা এসএসবি-কে জানিয়েছেন, তিনি তিন ভারতীয়কে নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডু থেকে ভারতে এসেছিলেন ৷ তাঁর সঙ্গে থাকা তিন ভারতীয় ব্যক্তি তাঁকে বিহারের দাড়ভাঙা জেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল ৷ ওই তিন ভারতীয়ের পরিচয় মহম্মদ ফরমুদ (64) ৷ তিনি দাড়ভাঙা জেলার ঘনশ্যামপুরের বাসিন্দা ৷ 51 বছরের কাদির এবং 41 বছরের মহম্মদ নিয়ামম ৷
মহিলাকে দিল্লিতে পাঠানোর পরিকল্পনা: জিজ্ঞাসাবাদে এসএসবি জানতে পারে, এই তিন ব্যক্তি কাঠমাণ্ডু থেকে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করে বিদেশি মহিলাকে দাড়ভাঙায় নিয়ে যাচ্ছিল এবং সেখান থেকে তাঁকে দিল্লিতে পাঠানোর পরিকল্পনা ৷ তবে, তাঁকে দিল্লিতে কোথায় এবং কেন পাঠানো হচ্ছিল ? তা এখনও জানা যায়নি ৷ এসএসবি মহিলা ও চার শিশু এবং তিন ভারতীয়কে আটক করে লৌকহা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ৷ সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷
লৌকহা থানার আধিকারিক সন্তোষ কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, "এসএসবি চার শিশু-সহ এক বিদেশি মহিলাকে আটক করে ৷ বিহারের তিন বাসিন্দাকেও ধরা হয়েছে ৷ তাঁরা কাঠমাণ্ডু থেকে ওই মহিলাকে বিহারে নিয়ে আসছিল ৷ তবে, ওই চার শিশু কার সন্তান, তা এখনও জানা যায়নি ৷ এমনকি ওই 3 ব্যক্তি কারা এবং মহিলাকে কেন দিল্লি পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল ? এই সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: অপারেশন বাহাদুর ! পুঞ্চে অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিল বাহিনী, খতম 2
এই ঘটনার সঙ্গে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ পুলিশ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বিষয়টিকে দেখছেন ৷ সূত্রের খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরাও বিহারে আসতে পারেন ৷ মূলত, মহিলা এবং ওই তিন ব্যক্তির কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে চাইছে প্রশাসন ৷