নয়াদিল্লি, 15 ডিসেম্বর: স্পা সেন্টারের আড়ালে (Sex racket running under guise of spa) আন্তর্জাতিক মধুচক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ (International Sex Racket Busted)৷ দিল্লির শাহদারা জেলার আনন্দ বিহার থানা এলাকার ঘটনা ৷ ঘটনাস্থল থেকে 7 জন বিদেশি-সহ মোট 12 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । রাজকুমার নামে এক ব্যক্তি, যিনি স্পা সেন্টারের রিসেপশনে বসতেন, তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ।
ডিসিপি আর সাথিয়া সুন্দরম জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে তাঁরা জানতে পারেন যে, ঋষভ বিহার এলাকার স্মাইল এন স্পা ম্যাসাজ সেন্টারে মধুচক্র চলে ৷ সেই খবর পেয়ে ওই স্পা সেন্টারে অভিযান চালানোর জন্য পুলিশ সুপার হরকেশ গাবা, এসআই প্রমোদ, এসআই রাহুল, এএসআই কর্মবীর, এএসআই রাজীব রানা, এইচসি চোটিল, এইচসি রোহন, মহিলা হেড কনস্টেবল দীপিকা, কনস্টেবল পারুল এবং কনস্টেবল সোনমকে নিয়ে একটি দল তৈরি করা হয় ৷
তারা একজন ভুয়ো গ্রাহককে সেই স্পা সেন্টারে পাঠান ৷ সেখানে রিসেপশনে তাঁর রাজকুমার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয় । তিনি ওই ছদ্মবেশী গ্রাহককে থাইল্যান্ডের একজন যুবতীর কাছ থেকে ম্যাসাজ নেওয়ার জন্য 2000 টাকা দিতে বলেছিলেন । টাকা নেওয়ার পর রাজকুমার ভুয়ো খদ্দেরকে থাই যুবতীর সঙ্গে একটি ঘরে যেতে বলেন । এর পরে সেই বিদেশিনী অতিরিক্ত পরিষেবার জন্য আরও 3000 টাকা চান । ভুয়ো খদ্দের তাঁকে টাকা দেন । এরপর ওই ভুয়ো খদ্দের একটি মিসড কল দিয়ে বাইরে অপেক্ষারত পুলিশের দলকে খবর দেন । খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্পা সেন্টারে অভিযান চালায় পুলিশ । সেখান থেকে রাজকুমার ছাড়াও সাতজন বিদেশি যুবতী ও আরও 5 জন ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: মধুচক্র চালানোর অভিযোগে চাঁচলে গ্রেফতার মহিলা সহ 3
গ্রেফতার হওয়া বিদেশিনীরা সবাই থাইল্যান্ডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে । ভারতে থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাঁদের কাছে নেই । এ বিষয়ে অনৈতিক বাণিজ্য প্রতিরোধ আইন এবং বিদেশি আইনের অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে । বর্তমানে 7 জন বিদেশি মেয়েকে হোমে পাঠানো হয়েছে এবং তাঁদের সম্পর্কে থাইল্যান্ড দূতাবাসকে তথ্য দেওয়া হচ্ছে । জানা গিয়ে, স্পা সেন্টারের মালিক আশিস চোপড়ার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷ আর রাজকুমার দিল্লি সংলগ্ন নয়ডার বাসিন্দা ।