নয়াদিল্লি, 17 জুন : সরকার (কেন্দ্র) কোনও মাধ্যমকে নিষিদ্ধ করতে চায় না ৷ কিন্তু সকলকেই আইন মেনে চলতে হবে ৷ মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের (Twitter) রক্ষাকবচ হারানোর প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad) ৷
এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর মুখোমুখি হয়ে রবিশঙ্কর বলেন, ‘‘ভারতের আইন মেনে চলার জন্য টুইটারকে তিনমাস সময় দেওয়া হয়েছিল ৷ তারপর আরও অতিরিক্ত সময় পেয়েছে তারা ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও নিয়ম মানেনি টুইটার কর্তৃপক্ষ ৷ সেই কারণেই টুইটারকে তার রক্ষাকবচ হারাতে হয়েছে ৷’’
-
...only in these limited categories, you'll be asked to declare who started the mischief. If viral messages are causing mayhem here which originated from across border then who started it in India, that's all we are seeking. This is in public interest: Union Min RS Prasad (2/2) pic.twitter.com/jQb3johT3D
— ANI (@ANI) June 17, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">...only in these limited categories, you'll be asked to declare who started the mischief. If viral messages are causing mayhem here which originated from across border then who started it in India, that's all we are seeking. This is in public interest: Union Min RS Prasad (2/2) pic.twitter.com/jQb3johT3D
— ANI (@ANI) June 17, 2021...only in these limited categories, you'll be asked to declare who started the mischief. If viral messages are causing mayhem here which originated from across border then who started it in India, that's all we are seeking. This is in public interest: Union Min RS Prasad (2/2) pic.twitter.com/jQb3johT3D
— ANI (@ANI) June 17, 2021
আরও পড়ুন : ভুয়ো খবর ছড়ানোয় অভিযুক্ত টুইটার, হারাল আইনি রক্ষাকবচ
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা ওদের (Twitter) তিনমাস সময় দিয়েছিলাম ৷ সবাই মেনে নিয়েছে (সরকারি নিয়ম) ৷ কিন্তু ওরা মানেনি ৷ তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মাবলীর 7 নম্বর ধারা অনুযায়ী যদি আপনি নিয়ম না মানেন, তাহলে আপনাকে 79 ধারার অধীনে মধ্যস্থতাকারীর ক্ষমতা হারাতে হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধি-সহ অন্য়ান্য আইনের আওতাধীন হয়ে যেতে হবে আপনাকে ৷’’
প্রসঙ্গত, ভারতের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন না মানায় বুধবারই তাদের রক্ষাকবচ হারায় টুইটার ৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে কাটাছেড়া শুরু হয়েছে ৷ এই প্রেক্ষাপটে টুইটারের রক্ষাকবচ হারানোর 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করতে মুখ খুললেন রবিশঙ্কর ৷
মন্ত্রী জানিয়েছেন, এরপর থেকে টুইটারে ‘বেআইনি’ বা ‘প্ররোচনামূলক’ কিছু পোস্ট করা হলেই (তা সে যিনি বা যাঁরাই পোস্ট করুন না কেন) আইন মোতাবেক তার ফল ভোগ করতে হবে কর্তৃপক্ষকে ৷ এমনকী, সংস্থার শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিক, ভারতে সংস্থার ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর-সহ যে কাউকেই পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হতে পারে ৷
তাহলে কি আগামী দিনে টুইটারকে ভারতে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে ? এর জবাবে রবিশঙ্কর জানিয়েছেন, সরকার এই ধরনের কোনও মাধ্যমকেই নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী নয় ৷ কিন্তু প্রত্যেককেই আইন মেনে চলতে হবে ৷
আরও পড়ুন : সক্রিয় দিল্লি পুলিশ, কংগ্রেসের টুলকিট বিতর্কে প্যাঁচে পড়তে পারে টুইটার
কেন্দ্রীয় সরকার যে টুইটারের সঙ্গে কোনও পক্ষপাতমূলক আচরণ করেনি, তা বোঝাতে রবিশঙ্কর বলেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি-সহ সরকার পক্ষের অর্ধেক মানুষই টুইটারে সক্রিয় রয়েছেন ৷ এর থেকেই বোঝা যায়, আমরা কতটা ন্যায্যভাবে কাজটা করছি ৷ কিন্তু নিয়মটা নিয়মই ৷ আমরা কোনও মাধ্যমকে নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী নই ৷ কিন্তু আপনাকে আইন মানতেই হবে ৷’’
ভারতের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রবিশঙ্কর বলেন, ‘‘যখন কোনও ভারতীয় সংস্থা আমেরিকায় গিয়ে কাজ করে, তখন তাদের স্থানীয় আইন মেনে চলতে হয় ৷ একইভাবে কোনও মার্কিন সংস্থা এখানে কাজ করলে, তাদেরও এখানকার আইন মানতে হবে ৷’’