নিউ দিল্লি, 30 জুন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যেতে না যেতেই তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনায় রীতিমতো আতঙ্কিত দেশবাসী ৷ তবে স্বস্তির বিষয় এটাই যে, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে দেশ ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে একটা সময় দৈনিক আক্রান্ত 4 লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৷ তবে বর্তমানে সেই তুলনায় সংক্রমণ 30 হাজারের ঘরে নেমে এসেছে ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে 17 শতাংশ করে কমছে দৈনিক সংক্রমণ ৷ গতকাল একটি সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, 5 মে থেকে ধারাবাহিকভাবে সংক্রমণ নামছে ৷ বর্তমানে প্রতিদিন 17 শতাংশ করে কমছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ৷ দেশে যখন স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন মানুষকেও যথাযথ কোভিড বিধি মানতে হবে ৷
গড় হিসাবে 5 মে থেকে 11 মে পর্যন্ত দেশে প্রায় 3 লাখ 87 হাজার 98 মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন ৷ আর 23 থেকে 29 জুনের মধ্যে সেই সংখ্যাটা কমে হয়েছে 48 হাজার 434 ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, 8 মে-র সপ্তাহে 531 টি জেলায় 100-র বেশি আক্রান্ত হচ্ছিল ৷ আর এখন মাত্র 111টি জেলা এই তালিকায় রয়েছে ৷
আরও পড়ুন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলে যায়নি, তাই নিশ্চিন্ত হওয়া চলবে না : হর্ষ বর্ধন
লব আগরওয়াল বলেন, "দেশের করোনায় সুস্থতার হারও অনেকটাই বেড়েছে ৷ 3 মে থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন সুস্থতার হার বাড়ছে ৷ 81.8 শতাংশ থেকে তা বর্তমানে 96.9 শতাংশে পৌঁছেছে ৷ সক্রিয় আক্রান্তও অনেকটা কমেছে ৷ সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি ছিল 10 মে ৷ তারপর থেকেই নিম্নমুখী সক্রিয় আক্রান্তের গ্রাফ ৷ এখন দেশে সবমিলিয়ে 5 লাখ 52 হাজার সক্রিয় আক্রান্ত রয়েছে ৷
এদিকে, করোনার টিকাকরণ নিয়ে লব আগরওয়াল বলেন, 21 জুন থেকে 28 জুন পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন 57 লাখ 67 হাজার টিকাকরণ হচ্ছে ৷ আর এক্ষেত্রে গ্রামীণ ও শহুরে এলাকা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ৷ 1 মে থেকে 28 জুন পর্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় মোট 9 কোটি 72 লাখ টিকাকরণ হয়েছে ৷ যেখানে শহরে 7 কোটি 68 লাখ টিকাকরণ হয়েছে ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 161 দিনে 31 কোটির টিকাকরণ হয়েছে ৷ যেখানে আমেরিকায় 183 দিনে ওই পরিমাণ টিকাকরণ হয়েছে ৷