বেঙ্গালুরু, 23 অগস্ট: ইজরায়েল, জাপান, সংযুক্ত আমিরশাহী, রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছিল ৷ ব্যর্থতার স্বাদ পেতে হয়েছিল ভারতকেও ৷ কিন্তু চারবছর আগে চন্দ্রযান-2-এর ব্যর্থতাতেই লুকিয়েছিল চন্দ্রযান-3-এর সাফল্যের চাবিকাঠি ৷ মুষড়ে পড়া নয়, বরং গতবারের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই বুধে চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ করল চন্দ্রযান-3'র ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান ৷ সেইসঙ্গে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল পা রাখল ভারত ৷
সামগ্রিকভাবে চাঁদের দেশে পা-রাখার নিরিখে চতুর্থ দেশ হিসেবে এলিট ক্লাবে প্রবেশ করল ভারত ৷ কারণ, এর আগে চাঁদের উত্তর মেরুতে পা রেখেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চিন ৷ তবে চাঁদের কুমেরুর বিস্তৃত ফাঁকা জমিতে প্রথম দেশ হিসেবে এক্সপ্লোর করবে ভারতই ৷ আগামী 14 দিন চাঁদের জমি পরীক্ষা করে নানা তথ্য ইসরোকে পরিবেশন করবে ল্যান্ডার বিক্রম ৷
দেশের মহাকাশ গবেষণার এহেন চরম সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ জানালেন, চাঁদের পৃষ্ঠে চন্দ্রযান-3-এর সফল অবতরণ চাঁদ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আমূল বদলে দেবে ৷ তবে ভারতের মতোই চাঁদের মাটিতে অবতরণে প্রথম কয়েকবারের প্রচেষ্টাতে অসফল হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন ৷ পাঁচবার ব্যর্থ হওয়ার পর ষষ্ঠবারে চাঁদের দেশে সফল অবতরণ করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের চন্দ্রযান লুনা-2 ৷ সালটা সেপ্টেম্বর, 1959 ৷
আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের সফল অবতরণ, মহাকাশ গবেষণায় বিনিয়োগকারী সংস্থার শেয়ার-সূচকে বড়সড় লাফ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো সফল হয়েছিল চতুর্দশবারে ৷ 13 বার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর 1964 সালে চাঁদে চন্দ্রযান সফল অবতরণ করাতে সক্ষম হয় নাসা ৷ যদিও এর পিছবে রেঞ্জার-7-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য ৷ কারণ চাঁদের পৃষ্ঠে মেনে ধ্বংস হওয়ার আগে 4 হাজারেরও বেশি ছবি নাসাকে পাঠিয়ে সাহায্য করেছিল এটি ৷ প্রথম দু'বার ব্যর্থ হওয়ার পর 2013 এবং 2018 চিনের মহাকাশযান চ্যাং-3 এবং চ্যাং-4 সফলভাবে চাঁদের উত্তর মেরুতে সফট ল্যান্ডিংয়ে সক্ষম হয় ৷ পরবর্তীতে 2020 চিনের চ্যাং-5 চাঁদের মাটি নিয়ে পৃথিবীতে ফিরতে সক্ষম হয়েছিল ৷