খেদা, 21 ডিসেম্বর: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় গুজরাতের ভাদনগর ও মোধেরার সূর্য মন্দির (Sun Temple) জায়গা পাওয়ায় নাদিয়াদের ঐতিহ্যবাহী গাছ ভোজপত্রী (Bhojpatri Tree) ফের লাইমলাইটে চলে এল ৷ এই গাছকে হেরিটেজ ট্রি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে গুজরাত সরকার ৷
জে অ্যান্ড জে কলেজ অফ সায়ান্সে রয়েছে এই ভোজপত্রী গাছ, যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে নাদিয়াদ এডুকেশন সোসাইটি ৷ এর বিজ্ঞানসম্মত নাম মেলালিউকা লিউকোডেনড্রন ৷ স্থানীয় ভাষায় এটি কায়াপুটি বা কাজুপুটি এবং ভোজপত্রী হিসেবেও পরিচিত ৷ এটি গুজরাতের একমাত্র ভোজপত্রী গাছ যার বয়স প্রায় 65 বছর ৷
বলা হয় যে, গুজরাতে ভোজপত্রী গাছটি পোঁতা হয়েছিল 1952 সালে ৷ জে অ্যান্ড জে কলেজ অফ সায়ান্সের বটানি বিভাগের তৎকালীন চেয়ারম্যান এই বৃক্ষরোপণ করেছিলেন ৷ প্রাচীনকালে যখন কাগজের আবিষ্কার হয়নি, তখন এই গাছের ছালে লেখা হত ৷ এই গাছের ছালের বিশেষত্ব হল যে, এতে উইপোকা ধরে না ৷ আর এটি জল লেগে নষ্টও হয়ে যায় না ৷
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশের প্রথম সৌরশক্তি নির্ভর গ্রাম হিসেবে আত্মপ্রকাশ মোধেরার
এই কারণেই এই গাছের ছালে যা লেখা হত, তা বছরের পর বছর সুরক্ষিত থাকত ৷ নাদিয়াদের এই ভোজপত্রী গাছকে 2004 সালে হেরিটেজ ট্রি অর্থাৎ ঐতিহ্যবাহী গাছ হিসেবে ঘোষণা করে গুজরাত সরকার ৷ জে অ্যান্ড জে কলেজ অফ সায়ান্সের আচার্য অল্পেশ প্যাটেল জানিয়েছেন যে, গুজরাত ছাড়া আর কোথাও এই গাছের দেখা মেলে না ৷
এএসআই মঙ্গলবার জানিয়েছে, মোধেরার সূর্য মন্দির, গুজরাতের ঐতিহাসিক ভাদনগর শহর এবং ত্রিপুরার উনাকোটির ভাস্কর্য ভারতের তিনটি নতুন সাংস্কৃতিক স্থান হিসেবে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অস্থায়ী তালিকায় যুক্ত হয়েছে । কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি খবরটি জানিয়ে টুইট করেন এবং তিনটি সাইটের ছবিও শেয়ার করেন ।