নয়াদিল্লি, 26 মার্চ : 2016 সালে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্য়ান পদ থেকে সাইরাস মিস্ত্রির অপসারণের সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক ছিল ৷ শুক্রবার এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ ৷ এই প্রসঙ্গে বিচারপতিদের মন্তব্য, ‘‘আইন টাটা গোষ্ঠীর পক্ষেই আছে ৷’’
এর আগে 2019 সালের 18 ডিসেম্বর সাইরাস মিস্ত্রিকে তাঁর হারানো পদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় জাতীয় কোম্পানি আইন অ্য়াপিলেট ট্রাইবিউনাল (এনসিএলএটি) ৷ টাটা গোষ্ঠীর তরফে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হয় ৷ অন্যদিকে, এর ঠিক একদিন আগেই 17 ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত মামলাটির রায়দান স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট ৷
সেই সময়ে সাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীর তরফে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করা হয়, টাটা গোষ্ঠী থেকে সাইরাস মিস্ত্রির অপসারণে কর্পোরেট প্রশাসনিক নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, 2016 সালের অক্টোবর মাসে আয়োজিত একটি বোর্ড মিটিংয়ে সাইরাসকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ যা ন্যায়সঙ্গত নয় বলে দাবি করেছিল সাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠী ৷ যদিও এই সমস্ত অভিযোগ একবাক্যে খারিজ করে দেয় টাটা কর্তৃপক্ষ ৷ তাদের পাল্টা দাবি ছিল, সাইরাসকে সরানোর মতো পর্যাপ্ত ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের হাতে ছিল ৷
আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ, এখনই চেয়ারম্যান পদে ফিরছেন না সাইরাস
প্রসঙ্গত, রতন টাটার উত্তরসূরি হিসাবে 2012 সালে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্য়ান পদে বসেন সাইরাস ৷ কিন্তু চার বছর পরই তাঁকে বরখাস্ত করা হয় ৷ রতন টাটার সঙ্গে সাইরাস মিস্ত্রির দড়ি টানাটানি সেই সময় নজর কেড়েছিল সব পক্ষের ৷
শুক্রবার অবশ্য শীর্ষ আদালত এই ঘটনায় টাটা গোষ্ঠীর পক্ষেই রায় দিয়েছে ৷ পাশাপাশি, সংস্থার অংশীদারিত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে টাটা গোষ্ঠী ও সাইরাস মিস্ত্রি, দু’পক্ষকেই নির্ধারিত আইন পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷