ETV Bharat / bharat

Imprisonment for Rape: মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে হায়দরাবাদের এক ব্যক্তির 20 বছরের কারাদণ্ড

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে হায়দরাবাদের এক ব্যক্তির 20 বছরের কারাদণ্ড ৷ নামপল্লি মেট্রোপলিটন সেশন এবং বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক টি অনিথা অভিযুক্ত আব্দুল হাফিজকে শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করেছেন ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 22, 2023, 10:45 PM IST

হায়দরাবাদ, 22 সেপ্টেম্বর: নিজের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত বাবার 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত ৷ নামপল্লি মেট্রোপলিটন সেশন এবং বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক টি অনিথা অভিযুক্ত আব্দুল হাফিজকে শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করেছেন ৷

একই সঙ্গে, ডিএলএসএ-এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার জন্য নির্যাতিতা মেয়েটিকে আদালত পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, 2008 সালে মামলাকারীর সঙ্গে আব্দুল হাফিজের বিয়ে হয় ৷ মোট ছয় সন্তান তাদের ৷ এর মধ্যে, চার পুত্র এবং দুই কন্যা ৷ মামলাকারীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী আব্দুল হাফিজ মদ্যপানে চরম আসক্ত ৷ যার জেরে তিনি কোনও কাজও করেন না ৷ প্রতিদিন, আবেদনকারী ভিক্ষা করতে যেতেন, আর অন্যদিকে, তাঁর স্বামী বাড়িতে থাকতেন এবং বাচ্চাদের দেখাশোনা করতেন।

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন গত 30 নভেম্বর 2021 তারিখে প্রায় বেলা চারটে নাগাদ মামলাকারী তৈয়বা হোটেল এবং মাসাব ট্যাঙ্ক সংলগ্ন এলাকায় দুই সন্তানের সঙ্গে ভিক্ষা করতে যান ৷ এরপর রাত 11টা নাগাদ বাড়িতে ফিরে আসেন। একই বিল্ডিংয়ে থাকা আবেদনকারীর বড় বোনও আদালতে জানিয়েছিলেন যে, রাত প্রায় সাড়ে আটটার দিকে, যখন তিনি বাড়ির মালিককে ভাড়া দিতে তিন তলায় গিয়েছিলেন, তখন তিনি দেখতে পান আবেদনকারীর স্বামী তার 10 বছর বয়সি বড় মেয়েকে যৌন নির্যাতন করছে।

ঘরের দরজা ভিতর থেকে তালা দিয়ে মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত আব্দুল হাফিজ ৷ নাবালিকা মেয়েটি জোরে চিৎকার করলে আবেদনকারীর বোন এবং প্রতিবেশীরা কার্যত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে। এরপরে, নির্যাতিতার মা হাবিবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে 'ভরোসা সেন্টারে' পাঠায় যেখানে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হয় বলে খবর।

আরও পড়ুন: 'পুলিশি তদন্তের মান হতাশাজনক', 2 ফাঁসির আসামিকে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্ট

অভিযোগ পাওয়ার পর হাবিবনগর থানার পুলিশ ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনের আইনের 6 (1) ধারাতেও মামলা রুজু হয় ৷ তদন্ত শেষ হওয়ার পর চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ ৷ ভরোসা কেন্দ্র ভুক্তভোগী পরিবারকে কাউন্সেলিং, চিকিৎসা সহায়তা, আইনি সহায়তা, আর্থিক সহায়তা ছাড়াও সিনিয়র অফিসারদের বাড়িতে যাওয়ার সুবিধাও করে দিয়েছে।

হায়দরাবাদ, 22 সেপ্টেম্বর: নিজের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত বাবার 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত ৷ নামপল্লি মেট্রোপলিটন সেশন এবং বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক টি অনিথা অভিযুক্ত আব্দুল হাফিজকে শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করেছেন ৷

একই সঙ্গে, ডিএলএসএ-এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার জন্য নির্যাতিতা মেয়েটিকে আদালত পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, 2008 সালে মামলাকারীর সঙ্গে আব্দুল হাফিজের বিয়ে হয় ৷ মোট ছয় সন্তান তাদের ৷ এর মধ্যে, চার পুত্র এবং দুই কন্যা ৷ মামলাকারীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী আব্দুল হাফিজ মদ্যপানে চরম আসক্ত ৷ যার জেরে তিনি কোনও কাজও করেন না ৷ প্রতিদিন, আবেদনকারী ভিক্ষা করতে যেতেন, আর অন্যদিকে, তাঁর স্বামী বাড়িতে থাকতেন এবং বাচ্চাদের দেখাশোনা করতেন।

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন গত 30 নভেম্বর 2021 তারিখে প্রায় বেলা চারটে নাগাদ মামলাকারী তৈয়বা হোটেল এবং মাসাব ট্যাঙ্ক সংলগ্ন এলাকায় দুই সন্তানের সঙ্গে ভিক্ষা করতে যান ৷ এরপর রাত 11টা নাগাদ বাড়িতে ফিরে আসেন। একই বিল্ডিংয়ে থাকা আবেদনকারীর বড় বোনও আদালতে জানিয়েছিলেন যে, রাত প্রায় সাড়ে আটটার দিকে, যখন তিনি বাড়ির মালিককে ভাড়া দিতে তিন তলায় গিয়েছিলেন, তখন তিনি দেখতে পান আবেদনকারীর স্বামী তার 10 বছর বয়সি বড় মেয়েকে যৌন নির্যাতন করছে।

ঘরের দরজা ভিতর থেকে তালা দিয়ে মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত আব্দুল হাফিজ ৷ নাবালিকা মেয়েটি জোরে চিৎকার করলে আবেদনকারীর বোন এবং প্রতিবেশীরা কার্যত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে। এরপরে, নির্যাতিতার মা হাবিবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে 'ভরোসা সেন্টারে' পাঠায় যেখানে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হয় বলে খবর।

আরও পড়ুন: 'পুলিশি তদন্তের মান হতাশাজনক', 2 ফাঁসির আসামিকে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্ট

অভিযোগ পাওয়ার পর হাবিবনগর থানার পুলিশ ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনের আইনের 6 (1) ধারাতেও মামলা রুজু হয় ৷ তদন্ত শেষ হওয়ার পর চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ ৷ ভরোসা কেন্দ্র ভুক্তভোগী পরিবারকে কাউন্সেলিং, চিকিৎসা সহায়তা, আইনি সহায়তা, আর্থিক সহায়তা ছাড়াও সিনিয়র অফিসারদের বাড়িতে যাওয়ার সুবিধাও করে দিয়েছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.