বেঙ্গালুরু, 15 ডিসেম্বর: আবর্জনা ফেলার জায়গায় পড়ে রয়েছে ভ্রূণ ৷ ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই কন্যা ভ্রূণটি নষ্ট করা হয়েছে ৷ এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে তল্লাশি চালায় স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ৷ মনে করা হচ্ছে, ওই হাসপাতালে গর্ভস্থ ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষা করা হত ৷ পাশাপাশি এর নেপথ্যে কোনও বড় চক্র কাজ করছে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ৷
এই ঘটনায় 4 সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ ৷ তাদের সবাই মহিলা ৷ এছাড়া 10 জন অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসকও রয়েছেন ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা হাসপাতালটিতে তল্লাশি চালান ৷ পাশাপাশি, হাসপাতালটি সিলও করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর ৷
ডাঃ সুনীল কুমারের নেতৃত্বে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি দল নীলামঙ্গলা, ডোব্বাপল্লাপুর, হোসাকোট এবং দেবানাহল্লির গ্রামীন হাসপাতালগুলিতে তল্লাশি চালায় ৷ এই সময় হোসাকোটের একটি হাসপাতাল থেকে একটি কন্যা ভ্রূণ খুঁজে পান তদন্তকারীরা ৷ সেটির বয়স 14-16 সপ্তাহ ৷ এই প্রসঙ্গে ডাঃ সুনীল কুমার বলেন, "হোসাকোটের একটি হাসপাতাল থেকে 14-16 সপ্তাহের একটি কন্যা ভ্রূণ পেয়েছে আমাদের দল ৷ বিপদ বুঝে ওই হাসপাতালের মালিক তড়িঘড়ি তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন ৷ তিনি পালিয়ে গিয়েছেন ৷ পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে ৷ তবে হাসপাতালের কোনও কর্মীই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না ৷"
তবে তিরুমালাশেত্তিহাল্লি থানায় হাসপাতাল এবং সেখানকার কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ এর সঙ্গে কোনও চক্র আছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ কয়েক মাস আগে মান্ডিয়া জেলার হাডিয়া গ্রামে আখের ক্ষেত থেকেও একই ধরনের সামগ্রী পেয়েছে পুলিশ ৷ কর্ণাটক সরকার এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ৷ এমাসের শুরুতেই তদন্ত আরম্ভ হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: