গুরুগ্রাম/চন্ডীগড়, 31 জুলাই: হরিয়ানার নুহ জেলায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল এলাকা। নির্বিচারে চলল পাথর ছোড়া । আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল একাধিক গাড়িতে । এমনকী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক হোম গার্ডের । প্রায় 12 জন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন এই ঘটনায় ।
জানা গিয়েছে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নুহ-তে হিংসার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গেই পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রাম জেলার সোহনায় চারটি গাড়ি এবং একটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা । ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা অবরোধও করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, নুহ'র হিংসায় প্রায় 12 জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন । তাদের মধ্যে আট জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ডেপুটি পুলিশ সুপার সজ্জন সিংয়ের মাথায় ও একজনের পেটে গুলি লেগেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।
পুলিশ জানিয়েছে, যে গাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলি মিছিলেই ছিল । একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অন্তত চারটি গাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছে। আরও একটি ভিডিয়োতে দুটি পুলিশের গাড়ি দেখা গিয়েছে। যেগুলিও সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে । জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এলাকায় এতটাই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে যে নুহ জেলায় সবরকম সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । হরিয়ানা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, তীব্র উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে বুধবার পর্যন্ত নুহ জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুু থেকেই চব্বিশে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন মোদি !
হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ জানান, সরকার প্রতিবেশী জেলাগুলো থেকে অতিরিক্ত বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা উপদ্রুত এলাকায় শান্তি ফেরাতে হেলিকপ্টারে বাহিনী পাঠানোরও চেষ্টা করছি।" অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ভিএইচপি'র 'ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা' নুহের খেদলার কাছে আসতেই একদল যুবক বাধা দেয় । মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, মিছিলে থাকা লোকেরাও পালটা যুবকদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে য়ায় । পরে পুলিশ তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার সময় অনেকেই স্থানীয় একটি মন্দিরে আশ্রয় নেয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিজ জানান, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। তিনি বলেন, "আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। আমরা শান্তি বজায় রাখার জন্য সকলের কাছে আবেদন করছি ।"