নয়াদিল্লি, 29 সেপ্টেম্বর: মিশন চন্দ্রযান-3 প্রজেক্টে জড়িত কর্মীরা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বেতন পাননি ৷ এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি লিখলেন সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম ৷ হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন বা এইচইসি-র তিন হাজারেরও বেশি কর্মী চন্দ্রযান-3-এর লঞ্চ প্যাড তৈরি করেছেন ৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না বলে খবর ৷
কেরলের এই প্রাক্তন মন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেন, "হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন বা এইচইসি-র 3 হাজারেরও বেশি কর্মী বিগত 20 মাস ধরে বেতন পাননি ৷ এই বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি এবং আপনাকে চিঠি লিখেছি ৷ এইচইসি ভারতের অন্যতম পুরনো রাষ্ট্রায়ত্ত ইউনিট ৷ দেশের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এই সংস্থার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ৷ চন্দ্রযান-3-এর লঞ্চ প্যাড তৈরি করেছে এইচইসি ৷"
চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের কথা এখন সর্বজনবিদিত ৷ এদিকে দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানের এই ঐতিহাসিক ঘটনায় যাঁদের অবদান রয়েছে, তাঁরাই বেতন পাচ্ছেন না ৷ সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম এইচইসি-র কর্মীদের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে লেখেন, "তাঁদের অনেকেই এখন পেটের দায়ে পার্ট-টাইমে অটোরিকশা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন ৷ কেউ বা রাস্তায় কোনও জিনিস বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। আবার কেউ পরিবারকে বাঁচাতে কায়িক শ্রমের রাস্তা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন ৷ কয়েকজন ব্যাঙ্কের জমা টাকায় হাত দিয়েছেন। ঋণ নিয়েও অনেকেকে জীবন চালাতে হচ্ছে ৷"
20 মাস ধরে এই মাইনে না-পাওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে ৷ এর মধ্যে অন্যতম কারণ, স্থায়ী চেয়ারম্যান বা ম্যানেজিং ডিরেক্টর না-থাকা ৷ প্রবীণ নেতা বিশ্বম লেখেন, "দেশের গর্বের জন্য এই কর্মীরা যা করেছেন, তার মূল্য এভাবে চোকানো যাবে না ৷ এদিকে তাঁরা বিনাদোষে কষ্ট পাচ্ছেন ৷ এটা কখনই গ্রহণযোগ্য নয় ৷" এই কর্মীদের আর্থিক সাহায্য করা দরকার বলে জানান রাজ্যসভার সাংসদ বিনয় বিশ্বম ৷
তিনি মনে করিয়ে দেন, এই কর্মীরাই দেশের শিল্পক্ষেত্রের বড় ভরসা। দেশের উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ৷ এইচইসি ভারী শিল্প মন্ত্রকের আওতায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ৷ এটি ঝাড়খণ্ডের রাঁচির ধারওয়া অঞ্চলে অবস্থিত ৷ ইসরো, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, রেলমন্ত্রক, কোল ইন্ডিয়া এবং একাধিক স্টিল কোম্পানিগুলি থেকে অর্ডায় পেয়ে থাকে এই হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন বা এইচইসি ৷ এবার সেখানেই দীর্ঘ 20 মাস বেতন হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: 'স্মাইল প্লিজ !' বিক্রমের ছবি তুলেছে প্রজ্ঞান, শেয়ার করল ইসরো