নয়াদিল্লি, 2 মার্চ : এবারের ভোটে সোশাল মিডিয়াতেও কড়া নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন। এতদিন সোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন বিজ্ঞাপন অ্য়াড ক্য়াম্পেন হিসেবে ধরা হলেও ছাড় পেত টুইটার ট্রেন্ডিং এবং হ্য়াশট্য়াগ। এবার সেগুলির উপরেও নজর রাখতে পারে কমিশন। সেগুলিকেও নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক অ্য়াড হিসেবে ধরা হতে পারে।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পুরো বিষয়টি নজরদারির জন্য় গত বছর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির নাম দেওয়া হয়েছিল মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্য়ান্ড মনিটরিং কমিটি। যার শীর্ষে রয়েছেন ইন্টারন্য়াল রেভেনিউ সার্ভিসের প্রাক্তন অফিসার হরিশ কুমার। সেই কমিটি এই বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য় সুপারিশ করেছে। এবং তাঁর নেতৃত্বে থাকা একটি টিম আসন্ন নির্বাচনের সময় এই বিষয়টি দেখবে।
কোন কোন বিষয় দেখবে ওই কমিটি?
সোশাল মিডিয়ায় যাবতীয় রাজনৈতিক ক্য়াম্পেন এবং তার জন্য় কত খরচ করা হয়েছে সেই বিষয়টি পর্যালোচনা করবে ওই কমিটি। এবং তার ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট তৈরি করে তা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেবে। ওই কমিটি জেলা ভিত্তিক একটি সোশাল মিডিয়া মনিটরিং সেল তৈরি করবে। যাদের দায়িত্ব থাকবে মূলত জেলা ও ব্লক স্তরের সোশাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক ক্য়াম্পেনগুলি মনিটরিং করা।
আরও পড়ুন- ভারতে টুইটার পরীক্ষা করছে নতুন ফিচার "ডিএম-এ 140 সেকেন্ডের ভয়েজ় মেসেজ’
এতদিন গুগল অ্য়াডস, ফেসবুক অ্য়াডস এবং টুইটারের রাজনৈতিক অ্য়াডগুলিকে রাজনৈতিক প্রচারের মধ্য়ে ধরা হত। এর মধ্য়ে টুইটারকে অন্য়তম গুরুত্বপূর্ণ প্রচার মাধ্য়ম হিসেবে গণ্য় করা হয়। পাশাপাশি সেখানে হ্য়াসট্য়গ ও ট্রেন্ড তৈরি করেও রাজনৈতিক প্রচার করা হত। একজন ব্য়বহারকারীর কাছে সুনির্দিষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া যেত কোনও রাজনৈতিক দলের মূল বক্তব্য়। তাই এবার থেকে হ্য়াসট্য়াগ এবং ট্রেন্ডিংকেও রাজনৈতিক প্রচারের মধ্য়ে ধরা হতে পারে।
এবিষয়ে জানা গেছে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে বুটমাস্টার সহ বেশ কয়েকটি টুল ব্য়বহার করা হতে পারে।