আমেদাবাদ, 22 ফেব্রুয়ারি: মোরবি সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় আদালতে বড় ধাক্কা খেল ওই সেতু সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওরেভা গোষ্ঠী (Oreva Group) ৷ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলায় তাদের বিরাট অংকের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে গুজরাত হাইকোর্ট (Gujarat High Court on Morbi Bridge Collapse) ৷ আদালত জানিয়েছে, গত বছরের ওই ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের নিকট আত্মীয়কে 10 লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ৷ ঘটনায় আহত প্রত্যেকে পাবেন 2 লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ৷ ওরেভা গোষ্ঠীকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী 4 সপ্তাহের মধ্যে 5 কোটি টাকা তাদের জমা করতে হবে ৷
মোরবি সেতু বিপর্যয় সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি চলছিল গুজরাত হাইকোর্টের ফার্স্ট ডিভিশন বেঞ্চে ৷ এই বেঞ্চে রয়েছেন আদালতের প্রধান বিচারপতি সোনিয়া গোকানি এবং বিচারপতি সন্দীপ ভাট ৷ ঘটনায় মৃতদের নিকট আত্মীয়দের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করার সময় দুই বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করেন ৷ এই ধরনের ঘটনায় প্রয়াতদের পরিজনকে কী ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত, সেই বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করেছিল শীর্ষ আদালত ৷
আরও পড়ুন: মোরবি সেতু বিপর্যয়ে বাঁচিয়েছিলেন বহু মানুষের প্রাণ, জিতলেন বিজেপি'র কান্তিলাল
এদিনের নির্দেশাবলী ঘোষণার সময় ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ উদ্ধৃত করে বলা হয়, "এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনায় বেসরকারি অংশীদারকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণের 55 শতাংশ নিজেদের পকেট থেকেই দিতে হবে ৷ বাকি 45 শতাংশ প্রদান করতে হবে সরকারি তহবিল থেকে ৷" একইসঙ্গে এদিন আদালত বলেন, "ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছের মানুষকে শুধুমাত্র কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ কারণ, তাঁদের জীবন সম্পূর্ণভাবে তছনছ হয়ে গিয়েছে ৷"
আদালতের পর্যবেক্ষণ হল, প্রাণহানি, কিংবা নিকটজনকে হারানোর কোনও ক্ষতিপূরণ হতে পারে না ৷ কারণ, এই ক্ষতি প্রকৃত অর্থেই অপূরণীয় ৷ তবুও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে যদি তাঁদের যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব করা যায়, সেই চেষ্টা করা উচিত ৷ প্রসঙ্গত, এই মামলায় অভিযুক্ত ওরেভা গোষ্ঠী আদালতকে জানিয়েছিল, তারা মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে 5 লক্ষ টাকা এবং আহতদের সকলকেই 1 লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত ৷ কিন্তু, আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ৷