গান্ধিনগর, 4 ডিসেম্বর: গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Election 2022) প্রথম দফায় খুব কম সংখ্যায় মানুষ ভোট দিয়েছেন ৷ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অন্তত তাই বলছে ৷ তাই আগামী 5 ডিসেম্বর, অর্থাৎ সোমবার দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় ভোটারদের বেশি সংখ্যায় বুথে গিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার আর্জি জানালেন (Vote in Large Numbers in Phase 2 CEC to Voters) ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Chief Election Commissioner Rajiv Kumar) ৷
গুজরাত বিধানসভার প্রথম দফায় 89টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে ৷ যেখানে 63.34 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷ যেখানে শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় মানুষ বেশি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৷ মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে কচ্ছের গান্ধিধাম অর্থাৎ, গুজরাতের শিল্পতালুকে ভোটাদানের হার সবচেয়ে কম ছিল ৷ মোটের উপর মাত্র 47.86 শতাংশ ভোট পড়েছে সেখানে ৷ 2017 বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় 6.34 শতাংশ ভোট পড়েছে গান্ধিধামে ৷
এরপর যে অঞ্চলগুলিতে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে, তার মধ্যে অন্যতম রাজকোট পূর্ব ৷ এখানে 62.20 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷ গত নির্বাচনের তুলনায় 4.78 শতাংশ ভোট কম পড়েছে ৷ রাজকোট পশ্চিমে 57.12 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷ 2017 নির্বাচনের তুলনায় 10.56 শতাংশ কম ভোট পড়েছে রাজকোট পশ্চিমে ৷ শহরাঞ্চলের 16টি বিধানসভা কেন্দ্রে 2017 বিধানসভা নির্বাচনের থেকে অনেকটাই কম ভোট পড়েছে ৷
আরও পড়ুন: মোদি-রাজ্যে বেকারের সংখ্যা 3 লক্ষেরও বেশি, নির্বাচনের আবহে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
নর্মদা জেলার দেদিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে, যা মূলত গ্রামীণ অঞ্চল ৷ সেখানে ভোট পড়েছে 82.71 শতাংশ ৷ গান্ধিধাম কেন্দ্রে এর থেকে 34.85 শতাংশ ভোট কম পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ৷ আর বাকি গ্রামীণ এলাকার ভোটের তুলনায় শহরাঞ্চলের কেন্দ্রগুলিতে ভোটদানের হার অনেকটাই কম ছিল গুজরাত বিধানসভার প্রথম দফতার নির্বাচনে ৷ 89টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে 26টি গ্রামীণ কেন্দ্রের সবক’টিতে 65 শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে ৷ যেখানে শহরাঞ্চলের বাকি কেন্দ্রগুলির একটিতেও ভোটদানের হার 65 শতাংশ পেরোয়নি ৷