নয়াদিল্লি, 5 নভেম্বর : ভারতের 38 হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে চিন (China continues to illegally occupy approximately 38000 sq km of Indian territory) ৷ শুক্রবার লোকসভায় এই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ বিদেশ রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলিধরন (Minister of State for External Affairs V Muraleedharan) লোকসভায় জানিয়েছেন, গত ছয় দশক ধরে ওই এলাকা অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে চিন ৷ যে এলাকার কথা বলা হয়েছে, তার পুরোটাই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের অন্তর্গত ৷
সংসদে জমা দেওয়া একটি লিখিত উত্তরে মন্ত্রী জানিয়েছেন, লাদাখের শক্সগাম উপত্যকায় পাকিস্তানও অনেকটা জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে ৷ তার মধ্যে 5180 বর্গ কিলোমিটার এলাকা আবার তারা চিনকে দিয়ে দেয় ৷ 1963 সালে পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে একটি সীমানা চুক্তি হয় (Pakistan China So Called Boundary Agreement signed in 1963) ৷ যার অধীনে অবৈধভাবে দখল করে রাখা ওই এলাকা পাকিস্তান চিনকে দেয় ৷
বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ শ্যাম যাদব সিংয়ের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী মুরলিধরন বলেন, ‘‘ভারত সরকার কখনওই পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে হওয়া 1963 সালের ওই সীমানা চুক্তিকে স্বীকৃতি দেয়নি ৷ আর ওই এলাকা দখল করে রাখা অবৈধ বলেই ভারত নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছে ৷’’ তিনি জানান, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের পুরো এলাকায় ভারতের অংশ ৷ তা বহুবার পাকিস্তান ও চিনকে জানানো হয়েছে ৷
1962 সালের পর থেকে সময় যত এগিয়েছে, ততই চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে কৌশলগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভাল হয়েছে ৷ ওই দুই দেশ যৌথভাবে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে ৷ তাদের নিজেদের মধ্যে কোনও সীমান্ত না থাকা সত্ত্বেও তারা ওই সীমানা চুক্তি 1963 সালে করে ৷ যাতে ভারতের সঙ্গে দর কষাকষি করা যায় ৷ তার উপর চিনকে অবৈধ ভাবে দখল করে রাখা এলাকা থেকে জমি দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান ৷
আরও পড়ুন : Galwan Valley clash : 4 নয়, গালওয়ানের সংঘর্ষের 42 জন চিনা সৈনিকের প্রাণ যায়; দাবি অজি সংবাদপত্রের
অন্যদিকে 2013 সালে চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং (Chinese President Xi Jinping) চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (China Pakistan Economic Corridor) বা সিপিইসি-র ঘোষণা করে ৷ যা সংযুক্ত হওয়ার কথা ওই অবৈধ এলাকা দিয়ে ৷ যে কারণে ভারত 2013 থেকেই চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (Belt and Road Initiative) বা বিআরআই (BRI) ও সিপিইসির (CPEC) বিরোধিতা করছে ৷ ভারতের বক্তব্য, এতে দেশের সার্বভৌমত্বের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ৷