দেরাদুন, 24 এপ্রিল: উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ফের হিমবাহ বিস্ফোরণ ৷ ভারত-চিন সীমান্তে নিটি উপত্যকার সুমনা অঞ্চলে শুক্রবার গভীর রাতে এই বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে ৷ যদিও কোনও প্রাণহানির খবর আসেনি ৷ রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য়বাসীকে সচেতন থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন ৷ এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী 6 জন মারা গিয়েছেন ৷ আর 291 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) জানিয়েছে ঋষিগঙ্গা নদীতে জলের উচ্চতা 2 ফুট বেড়ে গিয়েছে ৷
একটি টুইটে তিনি জানিয়েছেন, "নিটি উপত্যকায় হিমবাহ ভাঙার ঘটনা ঘটেছে ৷ এ বিষয়ে আমি সতর্কতা জারি করেছি ৷ জেলা প্রশাসন আর বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) আরও-র সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছি ৷"
চামোলির জেলায় এই বিপর্যয় সামলানোর দায়িত্বে থাকা আধিকারিক এন কে জোশি বলেন, "সুমনা অঞ্চলে কেউ থাকে না ৷ সেখানে আইটিবিপি-র ক্যাম্প আর বিআরও-দলের লোকজন কাজ করে ৷ "
চামোলির জোশিমঠের তপোবনে অবস্থিত সুমনা-র 40 কিমি দূরত্বে অবস্থিত রাইনি গ্রাম, চিনের সীমান্তের খুব কাছে ৷
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে হাহাকার, তবু প্ল্যান্টে 30 ঘণ্টা অক্সিজেনের অপেক্ষায় নানা রাজ্যের ট্যাঙ্কার
যদিও রাতেই মুখ্যমন্ত্রী ওই টুইটে পুরো বিষয়টি তাঁকে জানিয়ে ওই অঞ্চলে এনটিপিসি-র আর বাকি সব প্রজেক্টের কাজ বন্ধ করতে বলেছেন, যাতে আর কেউ মারা না যান, বা নিখোঁজ হয়ে যান ৷
আর একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হিমবাহ বিপর্যয়ের ঘটনার বিস্তারিত খবর পেয়েছেন ৷ কেন্দ্র আর আইটিবিপি-র তরফে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ৷"
এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ঋষিগঙ্গা আর ধৌলিগঙ্গা নদীতে জল বেড়ে গিয়ে নিটি উপত্যকার রাইনি গ্রামে হিমবাহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বহু মানুষ প্রাণ হারান, আর খোঁজ পাওয়া যায়নি অনেক স্থানীয় লোকের ৷ ওখানে দু'টি হাইড্রো প্রজেক্টের কাজ চলছিল সেই সময় ৷
ডিজিপি অশোককুমার একটি টুইটে জানিয়েছেন যে, কেউ মারা গিয়েছেন কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে ৷ তবে ওখানকার আইটিবিপি জওয়ানরা সুরক্ষিত রয়েছেন ৷ আর খারাপ আবহাওয়ার জন্য এই বিপর্যয়ের পুরো তথ্য এখনো পাওয়া সম্ভব হয়নি ৷