উদয়পুর, 2 এপ্রিল: দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের ছায়া এবার রাজস্থানের উদয়পুরে ৷ এখানে 8 বছরের এক নাবালিকাকে হেনস্থার পর তাকে খুন করে দেহের 10 টুকরো করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ৷ জানা গিয়েছে, উদয়পুরের মাবলী থানা এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা গত 28 মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল ৷
নাবালিকার পরিবারের তরফে ঘটনার যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে 28 তারিখ ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়ে চাষের ক্ষেতের দিকে গিয়েছিল ৷ কিন্তু সন্ধ্যে হয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায়, নাবালিকার খোঁজ শুরু হয় ৷ কিন্তু আশেপাশে খোঁজার পরেও তার কোনও সন্ধান মেলেনি ৷ এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় নাবালিকার পরিবারের তরফে ৷ তদন্তু শুরু করে পুলিশ ৷
ঘটনার চারদিন পর রবিবার এই নাবালিকার খণ্ডিত দেহ উদ্ধার হয় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার এক প্রতিবেশী যুবকই ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে ৷ 20 বছরের ওই যুবক ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে তার উপর যৌন অত্যাচারও চালায় বলে অনুমান ৷ পরে প্রমাণ লোপাট করতে সে খুনের পর ওই নাবালিকার দেহ 10 টুকরো করে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় মাটি চাপা দিয়ে দেয় ৷
যে জায়গা থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার এদিন উদ্ধার হয়েছে তা তার বাড়ি থেকে মাত্র 200 মিটার দূরে বলে জানা গিয়েছে ৷ রবিবার উদয়পুরের পুলিশ সুপার বিকাশ শর্মা জানিয়েছেন, ওই নাবালিকার প্রতিবেশী কমলেশ নামে এক যুবক এই নারকীয় কাণ্ড ঘটিয়েছে ৷ গাড়ির কাছেই এই ঘটনা ঘটায় ওই অভিযুক্ত ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক একটি মোবাইল গেমের প্রতি আসক্ত ছিল ৷ সেই মোবাইল গেম দেখে সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ ওই নাবালিকার দেহ চাপা দিতে যাতে সুবিধা হয় তাই খুনের পর তাঁর অঙ্গচ্ছেদ করা হয় বলে দাবি পুলিশের ৷
আরও পড়ুন: মায়ের পচাগলা দেহ আগলে বসে ছেলে, দুর্গন্ধে টিকতে না-পেরে থানায় প্রতিবেশীরা
সম্ভবত কোনওকিছুর প্রলোভন দেখিয়ে কমলেশ ওই নাবালিকাকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় বলে পুলিশের অনুমান ৷ অভিযুক্ত যুবক স্কুল ড্রপ-আউট বলে জানা গিয়েছে ৷ জেরা করা হচ্ছে অভিযুক্তের মা-বাবাকেও ৷ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায় ৷ দোষী যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে নাবালিকার পরিবার ৷