হরিয়ানা (পলবল), 14 মে: এক যুবতীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে ৷ একজন, দু'জন নয়, 25 জন মিলে ধর্ষণ করেছে এক তরুণীকে ৷ এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র 70 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হরিয়ানার পলবল জেলায় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর বয়ান অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটনাটি 3 মে ঘটলেও, 12 মে অনেক রাতে তিনি তাঁর উকিলকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় ৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সাগর, সমুদ্র-সহ মোট 25 জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ ৷ ইতিমধ্যে ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷
হসনপুর থানার প্রধান রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনে থাকতেন ওই তরুণী ৷ বাবা-মার সঙ্গে মনোমালিন্যের জন্যে তিনি দিল্লি চলে যান ৷ এই অবসরেই ফেসবুকে আলাপ হয় সাগরের সঙ্গে ৷
তরুণীর অভিযোগ, আলাপের তিন-চার মাস পর সাগরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে তরুণী ছেলেটিকে বিয়ে করতে জোর দেয় ৷ ছেলেটি সেই প্রস্তাবে প্রথমে নারাজ হলেও পরে তরুণীকে সেই অজুহাতে দেখা করতে ডাকে ৷ জানায় যে সে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তরুণীর আলাপ করিয়ে দিতে চায় ৷
পলবল জেলার হোডল নামক একটি জায়গায় দেখা করে দু'জন ৷ সেখান থেকে তরুণীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার বদলে অপহরণ করে রামগড় গ্রামের জঙ্গলে নিয়ে যায় ছেলেটি ৷ সেখানে সাগর, তার ভাই সমুদ্র-সহ আরো বেশ কিছু যুবক ধর্ষণ চালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ৷ এর পর সকালে তাকে আকাশ নামের এক বাতিল জিনিসের ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে যায় ৷ সেখানে আকাশ ও তার পাঁচ-ছ'জন বন্ধুরা মিলে আবারও ধর্ষণ করে তরুণীকে ৷
আরো পড়ুন : সরকারি হাসপাতালে নার্সের লালসার শিকার কোভিড রোগী ! 24 ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু
তরুণীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে, তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ৷ তখন তাঁকে গাড়িতে তুলে বদরপুর সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায় সাগর-সহ বাকি অভিযুক্তরা ৷
পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিক তদন্ত করে প্রধান অভিযুক্ত সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে ৷ সত্য যাচাই করে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ ৷