বেঙ্গালুরু, 21 ডিসেম্বর: 15 বছর ধরে ফেরার এক অপরাধীকে গ্রেফতার করল (Fugitive Arrested after 15 Years) বেঙ্গালুরুর মাডিওয়ালা থানার (Madiwala Police Station) পুলিশ ৷ ধৃতের নামে সুহেল ওরফে মহম্মদ আয়াজ ৷ একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আদালত যাবজ্জীন কারাদণ্ডের সাজা দেয় তাকে ৷ সাজা কাটার সময়েই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্যারোলে ছাড়া হয় সুহেলকে ৷ তারপর থেকেই সে বেপত্তা হয়ে যায় ৷ সূত্রের দাবি, দক্ষিণ কানাড়া জেলার বেলথাগাডি এলাকায় আত্মগোপন করেছিল সুহেল ৷ অবশেষে তার নাগাল পায় পুলিশ ৷
2000 সালে বেঙ্গালুরুর হোসুর রোডে এক লরিচালককে খুনের ঘটনা ঘটে ৷ সেই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে সুহেল ছাড়াও গ্রেফতার করা হয় শঙ্কর, সালিম, চাঁদ পাশা এবং বেণুগোপালকে ৷ মাডিওয়ালা থানার পুলিশই এই পাঁচজনকে পাকড়াও করে ৷ এদের মধ্যে সুহেল, শঙ্কর এবং সালিমকে এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় ৷ 2004 সালে তিনজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত ৷ এরপর সুহেলের ঠাঁই হয় পারাপ্পার অগরাহরা সংশোধনাগারে ৷ 2007 সালে এই কারাগার থেকেই প্যারোলে মুক্তি পায় সুহেল ৷ কিন্তু, তারপর আর কারাবাসে ফেরেনি সে ৷ বদলে নিজের নাম পরিবর্তন করে হয়ে যায় মহম্মদ আয়াজ ! দক্ষিণ কানাড়া জেলার বেলথাগাডি এলাকায় থাকতে শুরু করে সে ৷ সেখানেই আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রির ব্যবসা ফেঁদে বসে ৷ শুরু হয় নতুন জীবন !
আরও পড়ুন: গ্রেটার নয়ডায় নালা থেকে উদ্ধার পড়ুয়ার দেহ
এদিকে, লরিচালককে খুনের ঘটনায় অন্য দোষী ব্যক্তি শঙ্করকেও 2015 সালে প্য়ারোলে মুক্তি দেওয়া হয় ৷ এরপর সেও গা-ঢাকা দেয় ৷ কিন্তু, 2017 সালে বেঙ্গালুরুতেই মৃত্যু হয় শঙ্করের ৷ তার এক বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছিল, যখনই টাকার প্রয়োজন হত, বেলথাগাডি এলাকার সাগর এন্টারপ্রাইজে যেত শঙ্কর ৷ কিন্তু, এতদিন পুলিশ এই বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি ৷ এদিকে, এই ঘটনায় সম্প্রতি নতুন করে তদন্ত শুরু হয় ৷ তখনই পুলিশ শঙ্করের বন্ধুর বয়ান খতিয়ে দেখে ৷ তাতে সামনে আসে নয়া তথ্য ৷
শঙ্কর আসলে টাকার প্রয়োজনে সুহেল ওরফে মহম্মদ আয়াজের দ্বারস্থ হত ৷ একথা জানার পরই সুহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ইতিমধ্যেই ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ৷ সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী আধিকারিকদের এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার ৷