ETV Bharat / bharat

ড্রোন ব্যবহার করে নাশকতা, উপত্যকার নিরাপত্তায় বড় চ্যালেঞ্জ

author img

By

Published : Jun 28, 2021, 12:28 PM IST

ড্রোন ব্যবহার করে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার চিন্তার ভাঁজ নিরাপত্তাবাহিনীর কপালে ৷ এতদিন অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং হেরোইন পাচারে ড্রোন ব্যবহার করত জঙ্গিরা ৷ এবার সেই ড্রোনের মাধ্যমে নাশকতার ঘটনা উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ৷

from-drugs-and-guns-drones-may-pose-new-terror-challenge-in-Jammu-and-kashmir
ড্রোন ব্যবহার করে নাশকতা, উপত্যকার নিরাপত্তায় বড় চ্যালেঞ্জ

নয়াদিল্লি, 28 জুন : এতদিন অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং হেরোইনি এর মতো মাদক পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আনতে ড্রোনের ব্যবহার করত জঙ্গি সংগঠনগুলি ৷ যা ভারতীয় সেনা তথা নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে খুবই স্বাভাবিক বিষয় ছিল ৷ এমন বহু পরিকল্পনা সীমান্তে বানচালও করেছে ভারতীয় জওয়ানরা ৷ কিন্তু, কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদীরা ড্রোন ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটাতে শুরু করেছে ৷ যা ভারতের মাটিকে বিশেষ করে উপত্যকায় সন্ত্রাসের নতুন সংযোজন ৷ যে বিষয়টি এবার চিন্তায় ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনীকে ৷

প্রসঙ্গত, রবিবার রাত 1টা 40 মিনিটে এবং 1টা 46 মিনিটে জম্মু বিমানবন্দরে অবস্থিত ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ ঘটনায় জঙ্গিরা ৷ হেলিকপ্টার পার্কিং এরিয়ায় বিস্ফোরণ দু’টি হয় ৷ যে ঘটনায় ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটির একতলার ছাদ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ এছাড়া আর তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি সেখানে ৷ তবে, বায়ুসেনার এক ওয়ারান্ট অফিসার এবং এক এয়ারম্যান বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছেন ৷ ইনটেলিজেন্স সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ড্রোনের মাধ্যমে এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে ৷ কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, প্রথমত বায়ুসেনার ওই ভবনের উপরে বিস্ফোরণের সময় একটি আলো দেখা গিয়েছিল এবং দ্বিতীয়ত ভবনের ছাদে বিস্ফোরণের জেরে হওয়া গর্ত ৷

নিরাপত্তবাহিনীর এক সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিস্ফোরণটি আকাশপথে ড্রোনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকলে, সেটিকে কাছাকাছি কোনও স্থান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল ৷ আর পাকিস্তান থেকে ড্রোন উড়িয়ে এনে এই হামলা করার সম্ভব নয় ৷ কারণ, ভারত-পাক সীমান্তে মোতায়েন রোবাস্টের নজরদারি এড়িয়ে ড্রোনকে ভারতীয় ভূখণ্ডের এত ভিতরে নিরাপদে নিয়ে আসা অসম্ভব বলে মনে করছেন ওই আধিকারিক ৷

আরও পড়ুন : পরপর দু'টি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মুর বায়ুসেনার ঘাঁটি

এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কাশ্মীরে অভিযান চালিয়ে 15টি ম্যাগনেটিক বোম উদ্ধার করা হয়েছে ৷ তখনই বিপদের ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল বলে মনে করছে নিরাপত্তাবাহিনীর আধিকারিকরা ৷ জানা গিয়েছে, এই ম্য়াগনেটিক বোম বেশি ব্যবহার করে তালিবান জঙ্গিরা ৷ কোনও ব্যক্তি বিশেষকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে এই বোম ব্যবহার করা হয় ৷ প্রসঙ্গত, 2020 সালে 26 মার্চ এমন একটি ম্যাগনেটিক বোম ব্যবহার করেছিল খোরাসানের আইএস জঙ্গিরা ৷ কাবুলে এক শিখ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিকে মারতে সেই বোম ব্যবহার করেছিল আইএস জঙ্গিরা ৷

আরও পড়ুন : Jammu Blast : কড়া সতর্কতা জারি পাঠানকোটে

জম্মু বিমানবন্দরে এই বিস্ফোরণে হেক্সাকপ্টার ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করছে নিরাপত্তাবাহিনী ৷ এই হেক্সাকপ্টার ব্যবহার করে অস্ত্র, মাদক এবং সন্ত্রাসবাদীদের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং লাইন অফ কন্ট্রোল দিয়ে ভারতে পাঠাতো জঙ্গি সংগঠনগুলি ৷ কম দামের এই হেক্সাকপ্টার খোলা বাজারে খুব সহজেই পাওয়া যায় ৷ ফলে স্থানীয় জঙ্গিরা সে-রকমই কোনও হেক্সাকপ্টার ব্যবহার করে এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ যা চিন্তা বাড়াচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনীর ৷

নয়াদিল্লি, 28 জুন : এতদিন অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং হেরোইনি এর মতো মাদক পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আনতে ড্রোনের ব্যবহার করত জঙ্গি সংগঠনগুলি ৷ যা ভারতীয় সেনা তথা নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে খুবই স্বাভাবিক বিষয় ছিল ৷ এমন বহু পরিকল্পনা সীমান্তে বানচালও করেছে ভারতীয় জওয়ানরা ৷ কিন্তু, কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদীরা ড্রোন ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটাতে শুরু করেছে ৷ যা ভারতের মাটিকে বিশেষ করে উপত্যকায় সন্ত্রাসের নতুন সংযোজন ৷ যে বিষয়টি এবার চিন্তায় ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনীকে ৷

প্রসঙ্গত, রবিবার রাত 1টা 40 মিনিটে এবং 1টা 46 মিনিটে জম্মু বিমানবন্দরে অবস্থিত ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ ঘটনায় জঙ্গিরা ৷ হেলিকপ্টার পার্কিং এরিয়ায় বিস্ফোরণ দু’টি হয় ৷ যে ঘটনায় ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটির একতলার ছাদ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ এছাড়া আর তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি সেখানে ৷ তবে, বায়ুসেনার এক ওয়ারান্ট অফিসার এবং এক এয়ারম্যান বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছেন ৷ ইনটেলিজেন্স সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ড্রোনের মাধ্যমে এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে ৷ কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, প্রথমত বায়ুসেনার ওই ভবনের উপরে বিস্ফোরণের সময় একটি আলো দেখা গিয়েছিল এবং দ্বিতীয়ত ভবনের ছাদে বিস্ফোরণের জেরে হওয়া গর্ত ৷

নিরাপত্তবাহিনীর এক সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিস্ফোরণটি আকাশপথে ড্রোনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকলে, সেটিকে কাছাকাছি কোনও স্থান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল ৷ আর পাকিস্তান থেকে ড্রোন উড়িয়ে এনে এই হামলা করার সম্ভব নয় ৷ কারণ, ভারত-পাক সীমান্তে মোতায়েন রোবাস্টের নজরদারি এড়িয়ে ড্রোনকে ভারতীয় ভূখণ্ডের এত ভিতরে নিরাপদে নিয়ে আসা অসম্ভব বলে মনে করছেন ওই আধিকারিক ৷

আরও পড়ুন : পরপর দু'টি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মুর বায়ুসেনার ঘাঁটি

এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কাশ্মীরে অভিযান চালিয়ে 15টি ম্যাগনেটিক বোম উদ্ধার করা হয়েছে ৷ তখনই বিপদের ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল বলে মনে করছে নিরাপত্তাবাহিনীর আধিকারিকরা ৷ জানা গিয়েছে, এই ম্য়াগনেটিক বোম বেশি ব্যবহার করে তালিবান জঙ্গিরা ৷ কোনও ব্যক্তি বিশেষকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে এই বোম ব্যবহার করা হয় ৷ প্রসঙ্গত, 2020 সালে 26 মার্চ এমন একটি ম্যাগনেটিক বোম ব্যবহার করেছিল খোরাসানের আইএস জঙ্গিরা ৷ কাবুলে এক শিখ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিকে মারতে সেই বোম ব্যবহার করেছিল আইএস জঙ্গিরা ৷

আরও পড়ুন : Jammu Blast : কড়া সতর্কতা জারি পাঠানকোটে

জম্মু বিমানবন্দরে এই বিস্ফোরণে হেক্সাকপ্টার ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করছে নিরাপত্তাবাহিনী ৷ এই হেক্সাকপ্টার ব্যবহার করে অস্ত্র, মাদক এবং সন্ত্রাসবাদীদের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং লাইন অফ কন্ট্রোল দিয়ে ভারতে পাঠাতো জঙ্গি সংগঠনগুলি ৷ কম দামের এই হেক্সাকপ্টার খোলা বাজারে খুব সহজেই পাওয়া যায় ৷ ফলে স্থানীয় জঙ্গিরা সে-রকমই কোনও হেক্সাকপ্টার ব্যবহার করে এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ যা চিন্তা বাড়াচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনীর ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.