বক্সার, 21 ডিসেম্বর: কথায় বলে চোরের ওপর বাটপারি ! কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চোরের দলই যদি বাটপারি করে ! তাহলে একে কি বলা যায় ?
বলা যাই হোক না কেন ! এমন ঘটনা বাস্তবে ঘটলে হইচই তো পড়বেই ৷ আর তা হয়েওছে বিহারের বক্সারে ৷ সেখানে আদালতের নকল নথি দেখিয়ে বালিপাচারের অভিযোগে আটক হওয়া লরি ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
পুরো বিষয়টি সামনে আসার পর মাথায় হাত বিহার পুলিশের ৷ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল বক্সারের নওয়ানগর থানায় হাজির হয়েছেন পুলিশের বড়কর্তারা ৷ রুজু হয়েছে এফআইআর ৷ শুরু হয়েছে তদন্ত ৷ এই ঘটনায় জড়িত চারজনের সন্ধানে তল্লাশি অভিযানও শুরু হয়েছে ৷
বিহার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনদশেক আগে একটি বালিবোঝাই লরি আটক করা হয় ৷ বালি নিয়ে যাওয়ার কোনও নথি না থাকায় ওই লরিটিকে আটক করা হয় ৷ ধরা হয় একজনকে ৷ পরে ওই বালিবোঝাই লরি ছাড়াতে রিলিজ অর্ডার নিয়ে হাজির হন কয়েকজন ৷ নওয়াননগর থানার পুলিশ সেই নথি দেখে বালিবোঝাই লরিটিকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷
পরে পুলিশ বুঝতে পারে যে নথিটি জাল ৷ কারণ, জরিমানার কথা রিলিজ অর্ডারে উল্লেখ থাকলেও সেই সংক্রান্ত কোনও কাগজ ছিল না ৷ বিচারকের সই জাল করে পুরোটা হয়েছে, এটা পুলিশ বুঝতে পারার পর হইচই পড়ে ৷ তখন নওয়ানগর থানায় যান ডুমরাঁর এসডিপিও আফাখ আখতার আনসারি ৷ তিনি এফআইআর-এর নির্দেশ দেন ৷ তার পরই এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয় ৷
পুলিশ এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ট্রাক চালক মুরার গ্রামের বাসিন্দা সুনীল কুমার, রোহতাস জেলার ধোয়াই গ্রামের বাসিন্দা সাক্ষী শশী কুমার, সিমরি গ্রামের বাসিন্দা মালিক রাসবিহারী সিং এবং সিমরির বালিপাচারকারী হিসেবে অভিযুক্ত সন্তু কুমারের খোঁজ শুরু করেছে ।
আরও পড়ুন: