মোরবি, 31 অক্টোবর: গুজরাতের মোরবিতে মাচ্ছু নদীতে ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে 140 জনের বেশি মারা গিয়েছেন (Morbi Bridge Collapse) ৷ ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় 4 বছরের এক শিশু প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ৷ তবে, পরিবারের বিশেষত, তার মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই ৷ স্বাভাবিকভাবেই মাত্র 4 বছর বয়সেই অনাথ মোরবি শহরের উমা টাউনশিপের বাসিন্দা এই শিশুটি ৷ তার নাম জিয়াংশ ৷ বাবা হার্দিক ফালদু এবং মা মিরালবেন মাচ্ছু নদীর (Machchhu River) উপরে পায়ে হাঁটা ওই ব্রিজ ভেঙে মারা গিয়েছেন ৷
হার্দিক এবং তাঁর তুতো ভাই হর্ষল জালাভাদিয়া তাঁদের পরিবার নিয়ে রবিবার সন্ধ্যেয় ওই ব্রিজে ঘুরে যান ৷ সেখানে দুর্ঘটনায় হার্দিক ও তাঁর স্ত্রী এবং হর্ষলের স্ত্রী মারা যান ৷ কেবল হর্ষল জালাভাদিয়া এবং হার্দিকের ছেলে জিয়াংশ ফালদু (Jiyansh Faldu) প্রাণে বাঁচেন ৷ তাঁরা দু’জনেই আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি ৷ এই পরিস্থিতিতে জিয়াংশের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সংশয় আছে ৷ জানা গিয়েছে, জিয়াংশরা আসলে হালভাদের বাসিন্দা ৷ তাঁর বাবা হার্দিকের পৈতৃক বাড়ি হালভাদে ৷
প্রসঙ্গত, মোরবিতে এই ব্রিজ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 142 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ সেখানে এখনও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ৷ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে 6টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷ অভিযোগ উঠেছে, ওই ব্রিজের সর্বোচ্চ ভাড় ক্ষমতার থেকে বেশি লোকজন উঠেছিল ৷
আরও পড়ুন: ‘আমার মন পড়ে মোরবিতে’, জাতীয় ঐক্য দিবসের অনুষ্ঠানে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
পাশাপাশি, একাধিক মোবাইল ফুটেজ এবং সিসিটিভি-তে দেখা গিয়েছে, মাঝখানে অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্রিজটিকে দোলা দিচ্ছিলেন ৷ ফলে অতিরিক্ত ভার রাখতে না পেরে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে ৷ ঘটনায় ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে গুজরাত প্রশাসন ৷ জানা গিয়েছে, গত 7 মাস ধরে প্রায় 150 বছরের পুরনো এই ব্রিজটি বন্ধ ছিল মেরামতির জন্য ৷ দিন চারেক আগেই সেটি সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় ৷ তবে, ব্রিজটির পরিস্থিতি কেমন ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ? এই ঘটনায় তদন্তের জন্য গুজরাত সরকার 5 সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ৷