যোধপুর, 19 জুলাই: রাজস্থানের যোধপুরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ৷ গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ একই পরিবারের চারজন সদস্যকে ৷ মৃতদের মধ্যে একজন সাত মাসের শিশু । খুনের পর দেহগুলি পুড়িয়ে ফেলতে বাড়িতে আগুন লাগানো হয় অনুমান ৷ ঘটনাটি যোধপুরের ওশিয়ান থানা এলাকায় ৷ পুলিশ এসে চার জনের দেহ উদ্ধার করে ৷ একই পরিবারের চারজন খুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
জানা গিয়েছে, ওশিয়ান থানার অন্তর্গত রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থাকতেন ওই পরিবার ৷ সেখান থেকেই বুধবার চার সদস্যের আগুনে ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ মৃতরা হলেন পুনারাম বেয়ার্ড (55), তাঁর স্ত্রী ভানওয়ারীদেবী (50), পুত্রবধূ ধপু (24) ও সাত মাসের নাতনি । এই ঘটনায় যোধপুরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ৷
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের মনে হচ্ছে হত্যার পর দেহ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে । তার জন্যই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ গ্রামীণ পুলিশ সুপার ধর্মেন্দ্র সিং যাদব নিজে ঘটনার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যান ৷ যোধপুর থেকে এফএসএল দলও ওই বাড়িতে গিয়েছে । ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলাশাসক হিমাংশু গুপ্তাও । বুধবার ভোররাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: মেলায় গিয়ে বিবাদ, স্ত্রী'কে কুপিয়ে খুন করে আত্মসমপর্ণ স্বামীর
সূত্রের খবর, ঘটনার সময় চার জনই ঘুমিয়ে ছিলেন ৷ সেই অবস্থায় চারজনের গলা কেটে এরপর দেহগুলি ওই ঘরে রেখেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় । 7 মাস ওই শিশুর দেহের বেশিরভাগটাই পুড়ে গিয়েছে ৷ অন্যদিকে বাকি সব দেহগুলি অর্ধদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় । বুধবার সকালে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে মানুষ ভিড় জমায় ।
কীভাবে খুন ? পরিবারর সঙ্গে কারোর শত্রতা আছে কি না ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।