হায়দরাবাদ, 10 জুন: এই ওষুধ সেই ওষুধ এখন সব বৃথা ৷ মাছের প্রসাদ খেলে নাকি সেরে যাবে হাঁপানি রোগ ৷ সেই আশায় হাজারও মানুষ ভিড় জমিয়েছে হায়দরাবাদের নামপল্লীর মাঠে ৷ এখানে মৃগাসিরা কার্থেকে সম্মান জানিয়ে মাছের প্রসাদ বিতরণ করা হয় ৷ যা বহু প্রজন্ম ধরে বাট্টিনি পরিবার হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীদের দিয়ে আসছে । যখন সূর্য মৃগাসিরা নক্ষত্রে প্রবেশ করে তাকে শুভ দিন ধরা হয় ৷ সেই অনুয়ায়ী শুক্রবার সকাল 8টায় হায়দরাবাদের বাট্টিনি হরিনাথ গৌড় মাছের প্রসাদ বিতরণ শুরু করে । এই কর্মসূচি একটানা 24 ঘণ্টা চলে ৷ শনিবার সকাল 8টায় শেষ হয় ৷
ভেষজর সঙ্গে বাট্টিনি পরিবারের পৈতৃক কুয়োর জল ব্যবহার করে এই মাছের প্রসাদ ওষুধ তৈরি করা হয় । এই ভেষজ ওষুধটি একটি জ্যান্ত মাছের মুখের ভিতরে রাখা হয় এবং এটি হাঁপানি রোগীদের দেওয়া হয় ৷ তাদের এই মাছটি গিলে খেতে হয় । বাট্টিনি পরিবারের জ্যান্ত মাছের ওষুধটি কয়েক দশক ধরে সারা দেশে লক্ষ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকে সারাদেশ থেকে প্রায় 25 হাজারেরও বেশি হাঁপানি রোগী ওই মাঠে জড়ো হয়েছেন ওষুধ নিতে । আস্তে আস্তে লোকের সংখ্যা বাড়ায় গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন-সহ অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে সকলের জন্য খাবার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয় ৷
আরও পড়ুন: নিজামের শহরে নাশকতার ছক, পুলিশের জালে হিজাব-উৎ-তাহরীর 17 সদস্য
তেলেঙ্গানা সরকারের তরফে মন্ত্রী থালাসানি শ্রীনিবাস যাদব এবং জেলা কালেক্টর অময় কুমার মাছের প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করে দেখেছেন । এই অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদফতর 2 লক্ষ 50 হাজার মাছ সরবরাহ করেছে । বাট্টিনি পরিবার ঘোষণা করেছে, তারা প্রায় 5 লক্ষ মানুষের জন্য প্রসাদ তৈরি করেছে । প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও শিশুদের জন্য বিশেষ কাউন্টার করা হয়েছিল । এছাড়াও, ভিআইপিদের জন্য গান্ধি সেন্টেনারি হলে পাঁচটি বিশেষ কাউন্টার করা হয় । বাট্টিনি পরিবার জানিয়েছে, মাছের প্রসাদ গর্ভবতী মহিলা ছাড়া সবাই নিতে ও খেতে পারে ।