নয়াদিল্লি, 23 জুন : প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের হল ৷ এমনই জানিয়েছেন অসম পাবলিক ওয়ার্কের সভাপতি অভিজিৎ শর্মা ৷ প্রতীক অসমে এনআরসি (NRC) প্রক্রিয়ার প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর ৷ অভিজিৎ শর্মা জানিয়েছেন যে একই সঙ্গে প্রতীক ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহযোগীর নামেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে এনআরসি ফ্যামিলি ট্রি যাচাইয়ের কাজে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছে ৷
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে এনআরসির প্রক্রিয়া শুরু হয় ৷ উদ্দেশ্য ছিল উত্তর পূর্ব ভারতের এই সীমান্তবর্তী রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা ৷ 2019 সালের 31 অগস্ট এই প্রক্রিয়া শেষ হয় ৷ তাতে দেখা যায় যে 19 লক্ষ মানুষের নাম এনআরসি থেকে বাদ পড়েছে ৷
আরও পড়ুন : জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে কোনও আপস নয় : মেহবুবা
সেই সময় থেকেই এই নিয়ে অভিযোগ উঠতে শুরু করে ৷ অনেক বৈধ নাগরিকের নাম বাদ পড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এই নিয়ে রাজনৈতিক লড়াইও চলতে থাকে ৷ মূলত, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিজেপির দিকেই এই নিয়ে তোপ দাগতে শুরু করে ৷ বিজেপি জোর করে কিছু মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে চায় বলেও অভিযোগ করা হয় ৷
এনআরসি-র এই পুরো প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিলেন প্রতীক হাজেলা ৷ কিন্তু তিনি এই কাজে কারচুপি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অসমের পাবলিক ওয়ার্কসের সভাপতি অভিজিৎ শর্মা ৷ তিনি গত সোমবার এই নিয়ে অসম সিআইডির অতিরিক্ত ডিজিপির কাছে অভিযোগ জানান ৷ সেখানে তাঁর দাবি, প্রতীক হাজেলার সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত পরিযায়ী কিছু আধিকারিক, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, কয়েকজন সংখ্যালঘু নেতা এবং দেশবিরোধী কয়েকজন ৷
আরও পড়ুন : ভারতের করোনার ভ্যাকসিনেশন নিয়ে মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ জেপি নাড্ডা
এই অভিযোগের খবর সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে ৷ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে অসমের এনআরসি প্রক্রিয়ায় যদি জালিয়াতি হয়ে থাকে, তাহলে যাঁদের নাম বাদ পড়ল, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে ? তাঁদের বিষয়টি কি আবার খতিয়ে দেখা হবে ? আর যদি কারও নাম ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এনআরসি-তে থেকে যায়, তাহলে সেই নাম কীভাবে খুঁজে বের করা হবে ?