ETV Bharat / bharat

করোনা সংক্রমণের ভয়ে 15 মাস গৃহবন্দি অন্ধ্রের এক পরিবার

করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে দীর্ঘ 15 মাস নিজেদের বাড়ির মধ্যে বন্ধ করে রাখল এক পরিবার ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের রাজলের কাডালি গ্রামের ওই পরিবারকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করেছে ৷ এক প্রতিবেশী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই, নিজেদের গৃহবন্দি করে নেয় পরিবারটি ৷

fearing-covid 19 infection-a family-lock-them selves-for-15-months-in-andhra pradesh
করোনা সংক্রমণের ভয়ে 15 মাস গৃহবন্দি অন্ধ্রের এক পরিবার
author img

By

Published : Jul 22, 2021, 1:33 PM IST

পূর্ব গোদাবরী (অন্ধ্রপ্রদেশ), 22 জুলাই : করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে 15 মাস নিজেদের ঘরবন্দি করে রাখে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজলের কাডালি গ্রামের এক পরিবার ৷ বুধবার ওই পরিবারকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ কাডালি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান চোপ্পালা গুরুনাথ জানিয়েছেন, ওই পরিবারের 4 সদস্য নিজেদের গত 15 মাস ধরে ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন ৷ সেই সময় তাঁদের এক প্রতিবেশী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা পরিবার ৷ আর সেই আতঙ্ক থেকেই নিজেদের গৃহবন্দি করে নেয় পরিবারটি ৷

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন গ্রামীণ ভলান্টিয়াররা ৷ তাঁদের বাড়ির সদস্যদের আঙুলের ছাপ নিতে ৷ ওই গ্রামে একটি সরকারি প্রকল্প হচ্ছে ৷ সেখানে বাড়িটির একটি অংশ সরকারকে দেওয়ার জন্য তাঁর আঙুলের ছাপ নিতে গিয়েছিলেন ভলান্টিয়াররা ৷ কিন্তু, করোনা সংক্রমণের ভয়ে ওই বাড়ির সদস্যরা বের হননি ৷ তখনই বিষয়টি ভলান্টিয়ারদের নজরে আসে এবং তাঁরা পঞ্চায়েত প্রধানকে জানান ৷

এ নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান গুরুনাথ জানিয়েছেন, ‘‘চুট্টুগাল্লা বেন্নি এবং তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান ওই বাড়িতে থাকেন ৷ তাঁরা করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে গত 15 মাস নিজেদের বাড়িতে বন্ধ করে রেখেছিলেন ৷ নিজেদের ঘরের মধ্যে বন্ধ করে রেখেছিলেন এবং ভিতর থেকে তালা দিয়ে দিয়েছিলেন ৷ কোনও আশা কর্মী ওই বাড়িতে গেলে কারও সাড়া শব্দ পেতেন না ৷ ফলে ফিরে যেতেন ৷ সম্প্রতি তাঁদের কয়েকজন আত্মীয় খবর পাঠায় যে, ওই বাড়ির সদস্যরা নিজেদের দীর্ঘদিন ধরে বন্দি করে রেখেছেন এবং তাঁদের সবার শারীরিক অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক ৷’’

রাজলের সাব ইনসপেক্টর কৃষ্ণামাচারি এবং তাঁর দল পঞ্চায়েতের তরফে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যান ৷ সেখান গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সকলের অবস্থা খুবই ভয়াবহ ৷ প্রত্যেকের মাথায় চুল প্রায় জট পাকিয়ে গিয়েছে ৷ বহুদিন কেউ স্নান করেননি ৷ তৎক্ষণাৎ তাঁদের স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ প্রশাসন ৷ সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে ৷ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানিয়েছেন, আর কিছুদিন এমন চললে ওই পরিবারের সকলের মৃত্যু হত ৷

পূর্ব গোদাবরী (অন্ধ্রপ্রদেশ), 22 জুলাই : করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে 15 মাস নিজেদের ঘরবন্দি করে রাখে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজলের কাডালি গ্রামের এক পরিবার ৷ বুধবার ওই পরিবারকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ কাডালি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান চোপ্পালা গুরুনাথ জানিয়েছেন, ওই পরিবারের 4 সদস্য নিজেদের গত 15 মাস ধরে ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন ৷ সেই সময় তাঁদের এক প্রতিবেশী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা পরিবার ৷ আর সেই আতঙ্ক থেকেই নিজেদের গৃহবন্দি করে নেয় পরিবারটি ৷

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন গ্রামীণ ভলান্টিয়াররা ৷ তাঁদের বাড়ির সদস্যদের আঙুলের ছাপ নিতে ৷ ওই গ্রামে একটি সরকারি প্রকল্প হচ্ছে ৷ সেখানে বাড়িটির একটি অংশ সরকারকে দেওয়ার জন্য তাঁর আঙুলের ছাপ নিতে গিয়েছিলেন ভলান্টিয়াররা ৷ কিন্তু, করোনা সংক্রমণের ভয়ে ওই বাড়ির সদস্যরা বের হননি ৷ তখনই বিষয়টি ভলান্টিয়ারদের নজরে আসে এবং তাঁরা পঞ্চায়েত প্রধানকে জানান ৷

এ নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান গুরুনাথ জানিয়েছেন, ‘‘চুট্টুগাল্লা বেন্নি এবং তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান ওই বাড়িতে থাকেন ৷ তাঁরা করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে গত 15 মাস নিজেদের বাড়িতে বন্ধ করে রেখেছিলেন ৷ নিজেদের ঘরের মধ্যে বন্ধ করে রেখেছিলেন এবং ভিতর থেকে তালা দিয়ে দিয়েছিলেন ৷ কোনও আশা কর্মী ওই বাড়িতে গেলে কারও সাড়া শব্দ পেতেন না ৷ ফলে ফিরে যেতেন ৷ সম্প্রতি তাঁদের কয়েকজন আত্মীয় খবর পাঠায় যে, ওই বাড়ির সদস্যরা নিজেদের দীর্ঘদিন ধরে বন্দি করে রেখেছেন এবং তাঁদের সবার শারীরিক অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক ৷’’

রাজলের সাব ইনসপেক্টর কৃষ্ণামাচারি এবং তাঁর দল পঞ্চায়েতের তরফে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যান ৷ সেখান গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সকলের অবস্থা খুবই ভয়াবহ ৷ প্রত্যেকের মাথায় চুল প্রায় জট পাকিয়ে গিয়েছে ৷ বহুদিন কেউ স্নান করেননি ৷ তৎক্ষণাৎ তাঁদের স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ প্রশাসন ৷ সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে ৷ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানিয়েছেন, আর কিছুদিন এমন চললে ওই পরিবারের সকলের মৃত্যু হত ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.