গোয়ালিয়র, 29 নভেম্বর: যুবককে খুন করে তার দেহ 400 টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল শহরের বিভিন্ন জায়গায় ৷ এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু'জনকে গ্রেফতার করল গোয়ালিয়র পুলিশ ৷ অভিযুক্তেরা পরিচয়ে বাবা-ছেলে ৷ হত্যার 57 দিন পর এই খুনের ঘটনায় রহস্যের কিনারা হল ৷ ওই যুবকের দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষার পরই এর সমাধান সূত্রে খুঁজে পায় পুলিশ ৷
চলতি বছরেরই 28 সেপ্টেম্বর গোয়ালিয়রের জনকগঞ্জ থানা এলাকার রামকুই গেন্ডাওয়ালি রোডের একটি নিকাশি নালায় মানুষের দেহের টুকরো ভাসতে দেখা যায় ৷ সেখানেই প্রথমে ধড়ের কাটা অংশ পাওয়া যায় ৷ পরে পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ওই দেহ রাজু খান নামের এক ব্যক্তির ৷ তিনি বহোড়পুর ঝাড়ু মহল্লার বাসিন্দা ৷ পুলিশ দেহের টুকরোগুলি ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠায় ৷ রাজুর পরিবার এই খুনের জন্য কাল্লু খান এবং তার ছেলে নাজিমকে দায়ী করে ৷
রাজু খানের দেহের টুকরো খুঁজে পাওয়ার ঘটনা জানতে পেরে অভিযুক্ত বাবা ও ছেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ৷ এরপরই পুলিশের সন্দেহ আরও জোরদার হয় ৷ পুলিশ অভিযুক্ত কাল্লু এবং নাজিম খানের খোঁজে তল্লাশি চালাতে থাকে ৷ এদিকে এরই মধ্যে বাবা কাল্লু খান মাদকাসক্তির মামলায় ধরা পড়ে ৷ সেই জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত ৷ তবে ছেলে নাজিম তখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ৷ কিছুদিন পর আগ্রা থেকে কাল্লু খানের ছেলে নাজিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ রাজু খানের খুনের ঘটনা বাবা ও ছেলেকে জেরা করতে থাকে পুলিশ ৷ সেখানে পুলিশের চাপের মুখে বাবা ও ছেলে তাদের দোষ স্বীকার করে নেয় ৷
পুলিশি জিজ্ঞাবাদে কাল্লু খান ও নাজিম জানায়, তাদের সঙ্গে নিহত রাজু খানের ঝামেলা চলছিল ৷ সেই ঝামোলার জেরে রাজু খান পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় ৷ এরপর ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে 21 সেপ্টেম্বর কাল্লু খান রাজুকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায় ৷ রাজু দুই অভিযুক্তের নামে করা অভিযোগ তুলে নিতে রাজি হয়ে যায় ৷ এর বদলে তিনি 20 হাজার টাকা দাবি করেন ৷
তবে এই টাকা দেওয়া নিয়ে বিবাদ শুরু হয় রাজু খান ও কাল্লুদের মধ্যে ৷ তখনই অভিযুক্তরা রাজুর মাথায় আঘাত করে তাঁকে খুন করে ৷ এরপর রাজুর দেহ 400টি টুকরো করে 15টি ব্যাগে ভর্তি করে ৷ সেই ব্যাগগুলি শহরের স্বর্ণ রেখা নিকাশি নালায় ছুড়ে ফেলে দেয় ৷ পুলিশ এই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটিও কাল্লু খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে ৷ অভিযুক্তদের নিকাশি নালায় নিয়ে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: