খেদা(গুজরাত), 27 সেপ্টেম্বর: 13 বছরের নাবালিকা মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ ৷ গ্রেফতার বিশেষভাবে সক্ষম বাবা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের খেদা জেলার একটি গ্রামে ৷ নদিয়াদ পল্লি থানার পুলিশ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে ৷ এই ঘটনায় বাবা-সহ সাতজন নাবালক অভিযুক্তকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ নাবালিকার বাবাকে গ্রেফতার করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ । এই মামলার অন্য অভিযুক্তদের বিষয়েও জানতে বিশেষভাবে সক্ষমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।
পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট ভিআর বাজপেয়ী বলেন, "নাবালিকা মেয়েটির উপর তার বাবা ও আত্মীয়রা শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে । মেয়েটি শিশু সুরক্ষা অফিসারের কাছে একটি বিবৃতি লেখে ৷ সেখানেই এ কথা লিখে জানিয়েছে সে ৷ শিশু সুরক্ষা অফিসার নিজেই এ বিষয়ে অভিযোগ করেন এবং সেই অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয় । ঘটনায় মেয়েটির বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷"
জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট অফিসারের দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, নির্যাতিতার বয়স 13 বছর ৷ জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট অফিসারকে সে জানিয়েছে যে, বাবা তার সঙ্গে বারংবার শারীরিক সম্পর্ক করত। মেয়েটি ঘটনায় জড়িত আরও সাতজনের নাম বলেছে । যার ভিত্তিতে জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের আধিকারিক নদিয়াদ গ্রামীণ থানায় মেয়েটির বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: উজ্জয়িনীতে আড়াই ঘণ্টা রাস্তায় ঘুরেও সাহায্য পেল না ধর্ষিতা নাবালিকা ! তদন্তে পুলিশ
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা যে স্কুলে পড়াশোনা করে সেখানে জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের তরফে পকসো আইনের উপর একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল । এ সময় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে । ঘটনাটি বলতে বলতে নাবালিকা কেঁদে ফেলে । কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে সে সাহস জোগায় এবং কাউন্সেলিংয়ে সে জানায় যে তার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে । বাবাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ করছে ৷