নয়াদিল্লি, 14 জানুয়ারি: উত্তর দিল্লির খেদা এলাকায় বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় চারজনের মৃত্যু। বাড়ি থেকে স্বামী, স্ত্রী ও দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ঘরে আগুন জ্বলছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ঘর বন্ধ করে ভিতরে আগুন জ্বালানো হয়েছিল। আর সেই ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে সকলের। নিহত দুই শিশুর মধ্যে একজনের বয়স সাত বছর এবং অপরজনের বয়স আট বছর বলে জানা গিয়েছে।
আলিপুর থানা এলাকার খেদা গ্রামের দিনকর সিং পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে খেদা গ্রামেই থাকতেন তিনি। শনিবার রাতে দিনকর ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে ঘরে ফায়ারপ্লেস তৈরি করে সেখানে আগুন জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে দিনকর সিং, তার স্ত্রী ললিতা দেবী এবং দুই সন্তানকে ঘরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷ তখনও ঘরের ভিতরে আগুন জ্বলছিল বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয় ৷ পুলিশের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতর থেকে চারজনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ৷ প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার জেরেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করছে।এর আগেও বহুবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে ঘরের ভিতরে ফায়ারপ্লেস বা আগুন ব্যবহারের খবরও সামনে এসেছে ৷ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সচেতন করার জন্য এর আগে বহুবার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ৷ ঘরে আগুন জ্বালালে দরজা-জানালার কিছু অংশ খোলা রাখতোও বলা হয় ৷ যাতে ধোঁয়া বেরিয়ে যেতে পারে ৷ পুলিশ এই দুর্ঘটনায় চারজনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷
আরও পড়ুন
গরুর সঙ্গে ধাক্কা, ক্ষতিগ্রস্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সামনের অংশ
গুরুগ্রামের হোটেলে খুন হওয়া মডেল দিব্যা পাহুজার দেহ মিলল হরিয়ানার খালে