বরোদা (গুজরাত),10 জানুয়ারি: সংসারে আর্থিক টানাপোড়েন চরমে উঠেছিল। পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল ঋণের বোঝাও । কোনও উপায় না পেয়ে শেষমেশ চরম সিদ্ধান্ত নিল পরিবার। শেষ করে দিল নিজেদের । ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট (Suicide note has been recovered from the house) । গুজরাতের বরোদার এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিভিন্ন মহলে (Tragic incident accrued in Vadodara)।
জানা গিয়েছে, স্ত্রী স্নেহালবেন এবং ছেলে হর্ষিলকে নিয়ে বরোদার একটি বাড়িতে থাকতেন প্রীতেশভাই মিস্ত্রি। গত কয়েক বছর ধরেই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ছিল পরিবারটি । গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে । নতুন করে আরও কয়েকজনের থেকে ঋণ নিতে হয় (The family had huge debt)। এরইমধ্যে প্রীতেশের মা বাড়িতে আসবেন বলে জানান। তাঁকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানায় পরিবার। সেই মতো সোমবার ছেলের বাড়িতে এসে পৌঁছন মা । দরজা খোলা দেখে নিজেই ভিতরে প্রবেশ করেন । এরপরই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয় তাঁর । তিনি প্রীতেশ, স্নেহালবেন এবং হর্ষিলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান । তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ।
আরও পড়ুন: ট্রাকের সঙ্গে অটোর সংঘর্ষ, বিহারে প্রাণ গেল একই পরিবারের শিশু-সহ আটজনের
প্রীতেশের এক আত্মীয় কেতনভাই চুনারা জানিয়েছেন, আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও পরিবারের অন্য কোনও সমস্যা ছিল না । গত রবিবার প্রীতেশের সঙ্গে তাঁর মায়ের ফোনে কথা হয় । তিনি জানান,পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন । এরপরই সোমবার বাড়িতে আসেন মা ।প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও এর নেপথ্যে অন্য কোনও ঘটনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ । কয়েকটি সূত্র ধরে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তদন্তকারীরা । জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে নিজেদের আর্থিক অনটনের কথাই লিখেছে পরিবার । পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধও জানিয়েছে যাতে পরিবারের অন্য কোনও সদস্যকে বিরক্ত করা না-হয় ।