নয়াদিল্লি, 11 অক্টোবর: ফ্যাক্ট-চেকার মহম্মদ জুবেইরের (Mohammed Zubair) 2020 সালে করা টুইট নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের সামনে দিল্লি পুলিশ যে স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে আপত্তি জানাল জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (National Commission for Protection of Child Rights)৷ দিল্লি পুলিশের রিপোর্টকে ভুল বলে দাবি করেছে এনসিপিসিআর ৷
টুইটারের মাধ্যমে এক শিশুকন্যাকে হুমকি দেওয়া ও তাঁর বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগে মহম্মদ জুবেইরের বিরুদ্ধে পক্সো ধারায় মামলা দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল ৷ সেই এফআইআর খারিজ করার দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা ৷ একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা এনসিপিসিআর-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্কা কানুনগো ও যে টুইটার গ্রাহককে তিনি টুইটারে জবাব দিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি ৷
এই মামলায় গত 14 মে দিল্লি হাইকোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করে দিল্লি পুলিশ ৷ সেই রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, জুবেইর কোনও জামিনযোগ্য অপরাধ করেননি ৷ তবে এই নিয়ে এনসিপিসিআর আদালতে হলফনামা দাখিল করে দাবি করেছে যে, দিল্লি পুলিশের অবস্থান সঠিক নয় এবং এর থেকে গা-ছাড়া মনোভাব স্পষ্ট হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: মিলছে প্রাণনাশের হুমকি ! জামিনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ফ্যাক্ট-চেকার জুবেইর
হলফনামায় এনসিপিসিআর জানিয়েছে, এক নাবালিকার ছবি জুবেইর টুইট করায় ওই শিশুর বিরুদ্ধে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে ৷ এনসিপিসিআর-এর দাবি, "তাঁর টুইটার প্ল্যাটফর্মে ছবিটি রিটুইট করায় মেয়েটিকে একটি বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে হয়রানির মুখোমুখি পড়তে হয়েছিল, যেখানে টুইটার ব্যবহারকারীরা অশ্লীল এবং অসম্মানজনক মন্তব্য করেন তাঁর বিরুদ্ধে ৷"
সংস্থাটি আরও অভিযোগ করেছে যে, মেয়েটির বিরুদ্ধে তাঁর পোস্টে বেশ কয়েকটি মন্তব্য করা হয়েছে তা জানা সত্ত্বেও, জুবেইর টুইটটি মুছে ফেলার চেষ্টা করেননি বা তিনি এই ধরনের মন্তব্যকারীদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু জানাননি । দিল্লি হাইকোর্ট যাতে এই মামলায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এটি সম্পূর্ণ করতে দিল্লি পুলিশকে যাতে নির্দেশ দেয়, সেই আর্জি জানিয়েছে এনসিপিসিআর । আজ যে বিষয়টি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল, তার শুনানি আগামী 7 ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়েছে ৷