ETV Bharat / bharat

মোদি জমানার দুই ‘ভারত’ এক্সপ্রেস, ফারাক কোথায় অমৃত ও বন্দের মধ্যে - Vande Bharat

Amrit Bharat-Vande Bharat: শনিবার দেশের প্রথম দু’টি অমৃত ভারত এক্সপ্রেস চলা শুরু করল ৷ অযোধ্যা থেকে এই দু’টি ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এর আগে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল মোদি জমানায় ৷ এবার শুরু হল অমৃত ভারতের পথচলা ৷ কী পার্থক্য রয়েছে এই দু’টি ট্রেনের ? জেনে নিন ৷

Amrit Bharat-Vande Bharat
Amrit Bharat-Vande Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 30, 2023, 2:59 PM IST

Updated : Dec 30, 2023, 3:23 PM IST

হায়দরাবাদ, 30 ডিসেম্বর: একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে শনিবার অযোধ্যায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ ইতিমধ্য়ে তিনি উদ্বোধন করে ফেলেছেন অযোধ্যার নবনির্মিত বিমানবন্দরের ৷ যে বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়েছে মহর্ষি বাল্মিকীর নামে ৷ এ দিন সকালে ওই বিমানবন্দরে পৌছান মোদি ৷ সেখান থেকে রোড শোয়ের মাধ্যমে অযোধ্যা ধাম রেলস্টেশনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী ৷ সেখানে তিনি পুননির্মিত এই রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেন ৷ সেখান থেকে সূচনা করেন দু’টি অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ও ছ’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ৷

সারা দেশে এখন একশোরও বেশি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলে ৷ কিন্তু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের পথচলা শুরু হল শনিবার থেকেই ৷ তাই মোদি জমানায় তৈরি হওয়া এই দুই ট্রেনের তুলনা টানা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে ৷ এখন প্রশ্ন হল, কী পার্থক্য রয়েছে এই দু’টি ট্রেনের মধ্যে৷ দেখে নেওয়া যাক একনজরে -

অমৃত ভারত: এই ট্রেনটি নো-ফ্রিলস সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস পরিষেবার অধীনে রয়েছে ৷ অমৃত ভারত ট্রেনে রয়েছে শুধু নন-এসি স্লিপার এবং অসংরক্ষিত ক্লাস৷ দূরপাল্লার পরিষেবা দিতেই এই ট্রেন তৈরি করা হয়েছে ৷ ভারতের যে শহরগুলির মধ্যে দূরত্ব 800 কিলোমিটার কিংবা যাতায়াতে 10 ঘণ্টার বেশি সময় নেয়, সাধারণত এই শহরগুলির মধ্য়েই এই ট্রেন রাতে চালানো হবে ৷ এই ট্রেনের সর্বাধিক গতিবেগ ঘণ্টায় 110 থেকে 132 কিলোমিটার হতে পারে ৷

এই ট্রেনে পুশ-পুল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে ৷ এই ট্রেন দ্রুত গতি বৃদ্ধি করতে যেমন সক্ষম, তেমনই দ্রুততার সঙ্গে থেমেও যেতে পারে ৷ ঝাঁকুনি কমাতে এই ট্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে সেমি-পার্মানেন্ট কাপলারস ৷ প্রতিটি আসনের কাছে চার্জিং পয়েন্ট দেওয়া রয়েছেন ৷ বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে শৌচালয়ের আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ দরজাও অন্য ট্রেনের চেয়ে বড়, ব়্যাম্পেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ 22 বগির এই ট্রেন 1800 যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে ৷

বন্দে ভারত: অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের মতো এতটা দূরত্বে চলাচল করে না বন্দে ভারত ৷ শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো বন্দে ভারত দিনেরবেলা চলে ৷ সাধারণত দেশের যে শহরগুলির মধ্য়ে দূরত্ব 10 ঘণ্টার মধ্যে, সেই শহরগুলিই এই ট্রেনের মাধ্যেমে যুক্ত করা হয় ৷ এটি সেমি হাইস্পিড ট্রেন৷ একমাত্র দিল্লি ভোপাল রুটে সর্বাধিক 160 কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে চলে এই ট্রেন ৷ তবে স্টেপজ ও ট্র্যাকের কারণে এই ট্রেনের গতিবেগ কখনও 110 থেকে 130 কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি হয় না ৷ 2019 সালের 15 ফেব্রুয়ারি এই ট্রেন প্রথমবার চলা শুরু করে ৷

আরও পড়ুন:

  1. অযোধ্যা থেকে অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, বাংলার জন্য বরাদ্দ একটি
  2. প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে অযোধ্যায় উন্নয়নের নতুন যুগের সূচনা, বার্তা যোগীর
  3. অমৃত ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের আগে রেলের গতি স্তব্ধ করল আদিবাসীরা!

হায়দরাবাদ, 30 ডিসেম্বর: একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে শনিবার অযোধ্যায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ ইতিমধ্য়ে তিনি উদ্বোধন করে ফেলেছেন অযোধ্যার নবনির্মিত বিমানবন্দরের ৷ যে বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়েছে মহর্ষি বাল্মিকীর নামে ৷ এ দিন সকালে ওই বিমানবন্দরে পৌছান মোদি ৷ সেখান থেকে রোড শোয়ের মাধ্যমে অযোধ্যা ধাম রেলস্টেশনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী ৷ সেখানে তিনি পুননির্মিত এই রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেন ৷ সেখান থেকে সূচনা করেন দু’টি অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ও ছ’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ৷

সারা দেশে এখন একশোরও বেশি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলে ৷ কিন্তু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের পথচলা শুরু হল শনিবার থেকেই ৷ তাই মোদি জমানায় তৈরি হওয়া এই দুই ট্রেনের তুলনা টানা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে ৷ এখন প্রশ্ন হল, কী পার্থক্য রয়েছে এই দু’টি ট্রেনের মধ্যে৷ দেখে নেওয়া যাক একনজরে -

অমৃত ভারত: এই ট্রেনটি নো-ফ্রিলস সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস পরিষেবার অধীনে রয়েছে ৷ অমৃত ভারত ট্রেনে রয়েছে শুধু নন-এসি স্লিপার এবং অসংরক্ষিত ক্লাস৷ দূরপাল্লার পরিষেবা দিতেই এই ট্রেন তৈরি করা হয়েছে ৷ ভারতের যে শহরগুলির মধ্যে দূরত্ব 800 কিলোমিটার কিংবা যাতায়াতে 10 ঘণ্টার বেশি সময় নেয়, সাধারণত এই শহরগুলির মধ্য়েই এই ট্রেন রাতে চালানো হবে ৷ এই ট্রেনের সর্বাধিক গতিবেগ ঘণ্টায় 110 থেকে 132 কিলোমিটার হতে পারে ৷

এই ট্রেনে পুশ-পুল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে ৷ এই ট্রেন দ্রুত গতি বৃদ্ধি করতে যেমন সক্ষম, তেমনই দ্রুততার সঙ্গে থেমেও যেতে পারে ৷ ঝাঁকুনি কমাতে এই ট্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে সেমি-পার্মানেন্ট কাপলারস ৷ প্রতিটি আসনের কাছে চার্জিং পয়েন্ট দেওয়া রয়েছেন ৷ বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে শৌচালয়ের আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ দরজাও অন্য ট্রেনের চেয়ে বড়, ব়্যাম্পেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ 22 বগির এই ট্রেন 1800 যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে ৷

বন্দে ভারত: অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের মতো এতটা দূরত্বে চলাচল করে না বন্দে ভারত ৷ শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো বন্দে ভারত দিনেরবেলা চলে ৷ সাধারণত দেশের যে শহরগুলির মধ্য়ে দূরত্ব 10 ঘণ্টার মধ্যে, সেই শহরগুলিই এই ট্রেনের মাধ্যেমে যুক্ত করা হয় ৷ এটি সেমি হাইস্পিড ট্রেন৷ একমাত্র দিল্লি ভোপাল রুটে সর্বাধিক 160 কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে চলে এই ট্রেন ৷ তবে স্টেপজ ও ট্র্যাকের কারণে এই ট্রেনের গতিবেগ কখনও 110 থেকে 130 কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি হয় না ৷ 2019 সালের 15 ফেব্রুয়ারি এই ট্রেন প্রথমবার চলা শুরু করে ৷

আরও পড়ুন:

  1. অযোধ্যা থেকে অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, বাংলার জন্য বরাদ্দ একটি
  2. প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে অযোধ্যায় উন্নয়নের নতুন যুগের সূচনা, বার্তা যোগীর
  3. অমৃত ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের আগে রেলের গতি স্তব্ধ করল আদিবাসীরা!
Last Updated : Dec 30, 2023, 3:23 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.