হায়দরাবাদ, 30 ডিসেম্বর: একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে শনিবার অযোধ্যায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ ইতিমধ্য়ে তিনি উদ্বোধন করে ফেলেছেন অযোধ্যার নবনির্মিত বিমানবন্দরের ৷ যে বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়েছে মহর্ষি বাল্মিকীর নামে ৷ এ দিন সকালে ওই বিমানবন্দরে পৌছান মোদি ৷ সেখান থেকে রোড শোয়ের মাধ্যমে অযোধ্যা ধাম রেলস্টেশনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী ৷ সেখানে তিনি পুননির্মিত এই রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেন ৷ সেখান থেকে সূচনা করেন দু’টি অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ও ছ’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ৷
সারা দেশে এখন একশোরও বেশি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলে ৷ কিন্তু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের পথচলা শুরু হল শনিবার থেকেই ৷ তাই মোদি জমানায় তৈরি হওয়া এই দুই ট্রেনের তুলনা টানা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে ৷ এখন প্রশ্ন হল, কী পার্থক্য রয়েছে এই দু’টি ট্রেনের মধ্যে৷ দেখে নেওয়া যাক একনজরে -
অমৃত ভারত: এই ট্রেনটি নো-ফ্রিলস সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস পরিষেবার অধীনে রয়েছে ৷ অমৃত ভারত ট্রেনে রয়েছে শুধু নন-এসি স্লিপার এবং অসংরক্ষিত ক্লাস৷ দূরপাল্লার পরিষেবা দিতেই এই ট্রেন তৈরি করা হয়েছে ৷ ভারতের যে শহরগুলির মধ্যে দূরত্ব 800 কিলোমিটার কিংবা যাতায়াতে 10 ঘণ্টার বেশি সময় নেয়, সাধারণত এই শহরগুলির মধ্য়েই এই ট্রেন রাতে চালানো হবে ৷ এই ট্রেনের সর্বাধিক গতিবেগ ঘণ্টায় 110 থেকে 132 কিলোমিটার হতে পারে ৷
এই ট্রেনে পুশ-পুল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে ৷ এই ট্রেন দ্রুত গতি বৃদ্ধি করতে যেমন সক্ষম, তেমনই দ্রুততার সঙ্গে থেমেও যেতে পারে ৷ ঝাঁকুনি কমাতে এই ট্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে সেমি-পার্মানেন্ট কাপলারস ৷ প্রতিটি আসনের কাছে চার্জিং পয়েন্ট দেওয়া রয়েছেন ৷ বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে শৌচালয়ের আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ দরজাও অন্য ট্রেনের চেয়ে বড়, ব়্যাম্পেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ 22 বগির এই ট্রেন 1800 যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে ৷
বন্দে ভারত: অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের মতো এতটা দূরত্বে চলাচল করে না বন্দে ভারত ৷ শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো বন্দে ভারত দিনেরবেলা চলে ৷ সাধারণত দেশের যে শহরগুলির মধ্য়ে দূরত্ব 10 ঘণ্টার মধ্যে, সেই শহরগুলিই এই ট্রেনের মাধ্যেমে যুক্ত করা হয় ৷ এটি সেমি হাইস্পিড ট্রেন৷ একমাত্র দিল্লি ভোপাল রুটে সর্বাধিক 160 কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে চলে এই ট্রেন ৷ তবে স্টেপজ ও ট্র্যাকের কারণে এই ট্রেনের গতিবেগ কখনও 110 থেকে 130 কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি হয় না ৷ 2019 সালের 15 ফেব্রুয়ারি এই ট্রেন প্রথমবার চলা শুরু করে ৷
আরও পড়ুন: