পালামু (ঝাড়খণ্ড), 2 জানুয়ারি: চিতাবাঘকে মারার জন্য হায়দরাবাদ থেকে শার্প শুটারকে আনা হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে (Hyderabad sharp shooter invited ) ৷ ওই চিতাবাঘটি মানুষের ওপর হামলা করছে ৷ এর জেরে ইতিমধ্যে চার শিশুর মত্যু হয়েছে ৷
পালামু এবং গাড়োয়াতে (Palamu and Garhwa) প্রথমে চিতাবাঘটিকে শান্ত করার এবং ধরার জন্য একটি আদেশ জারি করা হয় ৷ যদিও এক বা দুই দিন তাকে ধরার চেষ্টা করা হয় ৷ এরপর ব্যর্থ হওয়ায় এটিকে হত্যা করার আদেশও জারি করা হয়েছে । এর জন্য হায়দরাবাদের বিশেষ শার্প শুটার নবাব সাপাত আলি খানকে (Hyderabad expert Nawab Sapat Ali Khan) ডাকা হচ্ছে । পালামু এবং গাড়োয়ায় চিতাবাঘরা মোট 9 জনকে আক্রমণ করেছে ৷ যার মধ্যে রয়েছে চার শিশু ৷ এদের প্রত্যেকের মৃত্যু হয়েছে ৷ পাঁচজন চিতাবাঘের হাামলায় আহত।
চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন (PCCF) আপাতত চিতাবাঘটিকে শান্ত করার অনুমতি দিয়েছে (permission to tranquilize leopard)। আগামী দু'দিনের মধ্যে চিতাবাঘটিকে মানব ভক্ষক (man eating leopard) ঘোষণা করা হবে । চিতাবাঘের সন্ধানে বন দফতরের দল (Forest Department team) বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে । গাড়োয়ার ডিএফও দিলীপ কুমার (Garhwa DFO Dilip Kumar) বলেন, "চিতাবাঘটিকে শান্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে । আগামী এক থেকে দু'দিনের মধ্যে চিতাবাঘটিকে মানব ভক্ষক ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে । হায়দরাবাদের বিশেষজ্ঞ নবাব সাপাত আলি খান চিতাবাঘ মারার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন । তিনি পশুদের শান্ত করতে পারদর্শী ৷ প্রয়োজনে শুটও করতেও (expert coming from Hyderabad to kill leopard) ।"
আরও পড়ুন: সাক্ষাৎ যম ! প্রাণ বাঁচাতে চিতাবাঘকে পিটিয়ে মারলেন যুবক
গাড়োয়ায় চিতাবাঘের আতঙ্ক কমাতে প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে বনবিভাগ । এক হাজার বর্গমিটার আয়তনের পর প্রতি 100 মিটারে ক্যামেরা বসানো হয়েছে । এক ডজনেরও বেশি স্বয়ংক্রিয় খাঁচাও বসানো হয়েছে । পুরো এলাকায় 10টি ভিন্ন দল মোতায়েন করা হয়েছে । সমস্ত দল চিতাবাঘের সন্ধানে নিয়োজিত । স্বয়ংক্রিয় খাঁচার ভেতরে ছাগল রেখেছে বন দফতর ৷ ছাগলের লোভ দেখিয়ে চিতাকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ পিসিসিএফের তরফে চিতাবাঘটিকে মানব ভক্ষক হিসাবে ঘোষণা করার অপেক্ষা শুধু এখন ।
আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানায় গবেষণাগারে ঘুরছে চিতাবাঘ